ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানী সুজানা হারকুলানো-হোজেল অবাক করে দিয়েছেন নতুন গবেষণা দিয়ে। জীবাশ্মবিজ্ঞানের দুনিয়ায় শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। উনি বলছেন, ডাইনোসরের মগজে স্নায়ুকোষের ঘনত্ব যতটা, সেই একই রকম নাকি আজকের দিনের প্রাইমেট বা বানরশ্রেণির স্তন্যপায়ীদের।
গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘জার্নাল অফ কম্প্যারেটিভ নিউরোলজি’ নামক পত্রিকায়। শ্রীমতী হোজেল দাবি করছেন, বেবুনদের মতো বুদ্ধি ছিল টি রেক্সের মতো কোনও কোনও ডাইনোসরের। আধুনিক বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানমনস্কদের কাছে ডাইনোসর শ্রেফ একটা ভয়ঙ্কর বিশালবপু প্রাণী। খুব বড়ো টিকটিকি। কিন্তু পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা একটা অতিকায় প্রাণীকে নিয়ে এই ধারণা কতটা ঠিক তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ইদানীং অনেক বিজ্ঞানীই। বিভিন্ন প্রজাতির ডাইনোসরের মধ্যে বুদ্ধিমত্তার স্তর পৃথক পৃথক। এটাই ছিল জীববিজ্ঞানীদের শেষ মূল্যায়ন। তারপরে এই গবেষণা।
শ্রীমতী হোজেল পাখিদের নিয়ে অন্য বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো খুঁটিয়ে দেখেছেন। ইদানীং খুব স্পষ্টভাবেই এটা প্রমাণ হয়েছে ‘ছোট মাথা’ নিয়েও পাখিদের বুদ্ধিসুদ্ধি বেশ উপরের সারিতেই। আজকের পাখিরা প্রাগৈতিহাসিক যুগের ডাইনোসরদের থেকেই বিবর্তিত হয়েছিল। পাখিদের মস্তিষ্কেও নিউরোনের ঘনত্ব অনেক বেশি। অর্থাৎ মগজের অল্প পরিসরের মধ্যে লক্ষ কোটি নিউরোনের ঠাসবুনট। শ্রীমতী হোজেলের গবেষণার অনুপ্রেরণাই ছিল পাখিদের দল।