সূর্য না লুব্ধক? নাকি স্বাতী তারা অথবা অদিতি? আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু এগুলোর কোনটাই নয়। বরং সদ্য মহাকাশে পাঠানো নতুন একটা কৃত্রিম উপগ্রহ। নাম – ব্লুওয়াকার ৩।
যত দিন যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ থেকে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে আরও বেশি বেশি স্যাটেলাইট পাঠানো হচ্ছে কক্ষপথে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের কথা ভাবলে যখন গর্ববোধ হয়, তেমনই সম্ভাব্য বিপদও রয়েছে।
রাতের আকাশ দেখায় বিঘ্ন যাতে না ঘটে, সেই উদ্দেশ্যে আস্ত একটা সংস্থা আছে – ইন্টারন্যাশানাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন সেন্টার ফর দ্য প্রোটেকশন অফ ডার্ক অ্যান্ড কোয়াইট স্কাই ফ্রম স্যাটেলাইট কন্সটেলেশান ইন্টারফেরেন্স। অর্থাৎ, কৃত্রিম উপগ্রহের জন্যে রাতের শান্ত আকাশ দেখায় কোনও সমস্যা না হয়, সেইটা সুনিশ্চিত করা। সংস্থার অধিকর্তা পিয়েরো বেনভেনিউতি বলছেন, ব্লুওয়াকার ৩-কে এখুনি বন্ধ করে পৃথিবীতে ফেরত নিয়ে আসা উচিৎ।
কিন্তু ব্লুওয়াকার ৩ কোনও ফেলনা যন্ত্র তো নয়। ৬৯৩ স্কয়ার ফুটের এই কৃত্রিম উপগ্রহের অ্যান্টেনার সজ্জা বাণিজ্যিক স্যাটেলাইটের মধ্যে সবচেয়ে বড়ো। মহাকাশে সেলফোনের টাওয়ারের মতো কাজ করার জন্য তৈরি হয়েছে ব্লুওয়াকার। ফলে পৃথিবীর নানা অবজারভেটরিতে বসানো রেডিও টেলিস্কোপের কাজকর্ম ব্যাহত হবে।
সিয়্যাটলের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশবিজ্ঞানী মেরেডিথ রোলস বলছেন, আমরা যা একদমই চাই না এটা ঠিক সেটাই। আকাশের তোলা ছবিতে লম্বা সাদা ধ্যাবড়া একটা দাগ হয়ে থাকবে আর অবজারভেটরিতে ক্যামেরার নির্দিষ্ট কাজে বিঘ্ন ঘটাবে।