নাসার (NASA) হাব্বল স্পেস (Hubble Space Telescope) টেলিস্কোপ সম্প্রতি মিল্কি ওয়ে বা আকাশগঙ্গা (Milky Way) ছায়াপথের একটি ছবি প্রকাশ করেছে। দূর থেকে এই মিল্কি ওয়ে দেখতে কেমন লাগে সেটাই বোঝানো হয়েছে। সাধারণত আমাদের চোখের একদম কাছে যা কিছু থাকে, তার ব্যাপারে আমরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। কাছে তুলনায় দূরের জিনিস সবসময়ই মানুষকে টানে বেশি। আর সেই জন্যই আকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানী থেকে আমজনতা, সকলেরই আগ্রহ বেশি। কোনও বস্তুর সঠিক দৃশ্যমানতা পেতে চাইলে সেই বস্তু এবং যে ব্যক্তি জিনিসটি দেখছেন তার মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে হবে। কারণ তার জেরেই সবচেয়ে স্পষ্ট ভিউ পাওয়া যাবে ওই নির্দিষ্ট বস্তুর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করছেন। তাই কীভাবে ভাল দৃশ্যমানতা পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে তাঁদের ধারণা অনেক বেশি।
কিন্তু এই সুবিশাল মহাকাশে অসংখ্য জিনিস থাকার ফলে, যত উন্নত যন্ত্রপাতিই থাক না কেন, জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের যথেষ্ট অসুবিধাই হয়। আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথ আক্ষরিক ভাবেই কেমন দেখতে লাগে তা জানতে গেলে কী করবেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এমন একটি জিনিস খুঁজে বের করার চেষ্টা হবে যা আকার, আয়তন এবং অন্যান্য দিক থেকে মিল্কি ওয়ের সমান। এর পাশাপাশি মিল্কি ওয়ে দূর থেকে দেখতে কেমন লাগে তা আন্দাজ করারও চেষ্টা করতে হবে। নাসা হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে ঠিক সেটাই করেছে।
হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে নাসা অন্য আর একটি সিস্টেম খুঁজে পেয়েছে এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে। একে দেখে মনে হবে যেন মিল্কি ওয়ের মতোই। নাসার এই নতুন খুঁজে পাওয়া গ্যালাক্সি সিস্টেমটিকে আকাশগঙ্গা ছায়াপথের দূরের কোনও কাজিন হিসেবে তুলনা করা হয়েছে। মিল্কি ওয়ে দেখতে কেমন লাগে তা বোঝার জন্য নাসার হাব্বল ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হয়েছে একটি ছবি। এই নতুন সিস্টেম যাকে নাসার হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপ খুঁজে পেয়েছে সেটিকে বলা হচ্ছে একটি গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ। এই নতুন গ্যালাক্সির নাম দেওয়া হয়েছে NGC 3949। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ৫০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ। নক্ষত্রপুঞ্জ Ursa Major- এ রয়েছে এর অবস্থান। আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথ বা মিল্কি ওয়ের মতো এই নতুন গ্যালাক্সি NGC 3949- তেও রয়েছে একটি নীল রঙের চাকতি। এছাড়া চারপাশে রয়েছে নবীন নক্ষত্ররা। তৈরি হয়েছে গোলাপি আভা।