স্বস্তির নিশ্বাস নেওয়া যাবে কিনা সেটা এখুনি বলা যাচ্ছে না। তবে থোয়েটস হিমবাহের খবরে পৃথিবী জুড়ে বিজ্ঞানীদের মেরুদণ্ড বেয়ে যেমন ঠাণ্ডা স্রোত নেমে এসেছিল ব্যাপারটা তত ভয়াবহ নাও হতে পারে। নতুন গবেষণা বলছে, পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকায় বরফের পাত ভেঙে পড়ার ঘটনা চটজলদি হবে না। বরং আঞ্চলিক জলবায়ু আর সমুদ্রস্রোতের তারতম্যের উপর অনেকটাই নির্ভর করবে।
অ্যান্টার্কটিকার পশ্চিম অংশে এমনিতে বরফের আস্তরণ বেশ পুরু। সবটা গলে গেলে দুনিয়া যুগে সমুদ্রতলের উচ্চতা বেড়ে যেতে পারে ৩.৩ মিটার। গত বছরের মাঝামাঝিই পরপর কয়েকটা বড়ো হিমবাহ ভেঙে পড়ার ছবি দেখে শিউরে উঠেছিলাম আমরা। কিন্তু ঝুঁকির বিষয়টাও অত সহজসরল নয়।
কেমব্রিজ, এডিনবরা আর ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যৌথভাবে কৃত্রিম উপগ্রহ মারফৎ তোলা ছবি, ঐ অঞ্চলের সামুদ্রিক হালচালের বিশদ তথ্য আর বর্তমান আবহাওয়ার খুঁটিনাটি একসাথে করে দেখেছেন। বিশ্লেষণের পর তাঁদের সিদ্ধান্ত, বরফ গলার পরিমাণ কিংবা হার উভয়ই মূলত নির্ভর করছে আঞ্চলিক জলবায়ুর উপর। অর্থাৎ, মনুষ্যকৃত দূষণের দরুন যে রাতারাতি ধ্বংস হয়ে যাবে হিমবাহ আর বরফের রাজত্ব এমনটা মোটেই নয়।
নেচার কমিউনিকেশন পত্রিকায় বেরিয়েছে এই গবেষণাপত্র। বলা হয়েছে, ২০০৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে অ্যান্টার্কটিকার উপকূল থেকে বেশ কিছুটা পিছু হটেছে বরফের পুরু চাদর। কিন্তু পিছু হটার বেগ বাড়েনি, বরং কমেছে। স্থানীয় সমুদ্রে জলের উষ্ণতা আর উপকূলে বাতাসের গতিবিধির উপরেই বেশিটা নির্ভর করে।