বাকি অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের চেয়ে বুদ্ধির দৌড়ে অনেকখানি এগিয়ে আছে অক্টোপাস। কিন্তু কেন? সেই রহস্যের সমাধান করতে গিয়েই অবাক করা একটা বৈশিষ্ট্য দেখে হোঁচট খেলেন গবেষকরা। অক্টোপাসের দেহে নাকি মাইক্রো-আরএনএ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
সায়েন্স অ্যাডভান্সেস পত্রিকায় বেরিয়েছে গবেষণার খবর। বার্সেলোনার সেন্টার ফর জিনোমিক রেগুলেশনের জিনতাত্ত্বিক গ্রিগরি জোলটারোভ ছিলেন গবেষণাপত্রের প্রথম লেখক। তিনি বলছেন, মাইক্রো-আরএনএ যদি হিসেব করা হয় তাহলে প্রাণীজগতে তৃতীয় স্থানে রাখতে হয় অক্টোপাসকে; অমেরুদণ্ডীদের মধ্যে প্রথম। উনি তথ্য দিচ্ছেন, কম্বোজ-জাতীয় (মোলাস্ক) প্রাণীদের মধ্যে ঝিনুক রয়েছে। এদের শরীরে মাত্র পাঁচটা মাইক্রো-আরএনএ ফ্যামিলি রয়েছে। অক্টোপাসের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৯০!
অন্য প্রকারের আরএএন-র কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে মাইক্রো-আরএনএ। কাজ বন্ধও করে দিতে পারে। এতে করে প্রতিটা কোষ কোন ধরণের প্রোটিন কতটা সংশ্লেষ করবে তা ঠিক করতে পারে। কিন্তু গবেষকরা অক্টোপাসের ক্ষেত্রে আলাদা কিছু খুঁজে পেয়েছেন। দেখা গেছে, বিবর্তনের ফলে যে নতুন মাইক্রো-আরএনএ অক্টোপাসের দেহে তৈরি হয়েছে তারা মূলত মস্তিষ্কের কলার (টিস্যু) বিকাশে নিয়োজিত। এটাই অক্টোপাসের বুদ্ধির গোপন কারণ।