সিল মাছের আজব কান্ড!

সিল মাছের আজব কান্ড!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৬ মার্চ, ২০২২

সিল মাছের মাথায় লাগানো রয়েছে হেলমেট । তার মধ্যে আবার রয়েছে অ্যান্টেনা। সচরাচর এমন দৃশ্য একেবারেই দেখা যায় না। কিন্তু এবার এমনটাই করা হচ্ছে সিল মাছদের সঙ্গে। সম্প্রতি ৮টি সিল মাছের  মাথায় এরকম অ্যান্টেনা লাগানো হেলমেট দেখা গিয়েছে। কিন্তু কেন তাদের মাথায় লাগানো হয়েছে এই মনিটরিং ডিভাইস? জানা গিয়েছে, ৫৮০ গ্রামের এই মনিটরিং ডিভাইসের সাহায্যে এবার থেকে সিল মাছেরাই মেরুপ্রদেশের বরফের নীচে লুকিয়ে থাকা নানা অজানা এবং রহস্যজনক তথ্য সংগ্রহ করে আনবে। জাপানের গবেষকদের দলকে তাঁদের গবেষণার কাজে সাহায্য করবে এই আটটি সিলমাছ। আর সেই জন্যই তাদের মাথায় লাগানো হয়েছে ওই অ্যান্টেনা সমেত হেলমেট।
আন্টার্টিকার পুরু বরফের স্তরের নীচে অভিযান চালানো মোটেই সহজ কাজ নয়। মানুষের পক্ষে ওরকম হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো বেশ কষ্টসাধ্য। আর সেই জন্যই সাহায্য নেওয়া এই সিলমাছদের। জানা গিয়েছে, ওই জাপানি গবেষকদের দল আন্টার্কটিকার পুরু বরফের স্তরের নীচে থাকা জলের মধ্যেই গবেষণা চালাবেন। ২০১৭ সালের মার্চ থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে আন্টার্কটিকার হিমশীতল জলের নীচে পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছিলেন ওই জাপানি গবেষকের দল। সেখানেই জলের নীচে নামানো হয় আটটি সিল মাছকে। তাদের মাথায় লাগানো ছিল অ্যান্টেনা সমেত হেলমেট। ওই মনিটরিং ডিভাইসের মধ্যে পরিবাহিতা, তাপমাত্রা এবং গভীরতা মাপার সেনসর লাগানো ছিল। এইসব ফিচারের সাহায্যেই বৈজ্ঞানিকরা জলের তাপমাত্রা এবং লবণতার পরিমাণের মতো বিষয় অত কঠিন আবহাওয়ার পরিস্থিতিতেও মাপতে পেরেছিলেন। অর্থাৎ সঠিক তথ্য এসে পৌঁছেছিল বিজ্ঞানীদের কাছে।
জাপানের ওই গবেষক দলের প্রধান জানিয়েছেন, এই ধরনের গবেষণার ফলে বিজ্ঞানীরা জীবজন্তুদের ব্যবহারের পরিকাঠামো এবং ইকোলজি বুঝতে সহায়তা করে।