সমুদ্রপৃষ্ঠের চেয়ে পাহাড়ের মানুষের বয়স বাড়ে দ্রুত- আইনস্টাইনের এ অনুমান সঠিক প্রমাণ করলো নতুন পারমাণবিক ঘড়ি।
আরো এক বার প্রমাণ হলো তিনিই সঠিক। সম্প্রতি আবিষ্কার হয়েছে নতুন এক ধরনের অ্যাটমিক ক্লক। বাংলায় বললে পারমাণবিক ঘড়ি। এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত শ্রেষ্ঠ পারমাণবিক ঘড়ি এটি। সময়ের অতি ক্ষুদ্র অংশকেও এই ঘড়ির কাঁটা চিহ্নিত করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যাণ্ড টেকনোলজির সদস্য ও কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদার্থ বিজ্ঞানী জুন ইয়ে এবং তাঁর সহকর্মীরা আবিষ্কৃত নয়া পারমাণবিক ঘড়ি সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি গত বুধবার নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে পারমাণবিক ঘড়িটি এই মুহুর্তে দুনিয়ার সেরা পারমাণবিক ঘড়ির চেয়ে ৫০ গুন বেশি নিখুঁত ভাবে সময়কে মাপতে পারে। আর এই ঘড়ি আবিষ্কারের ফলেই আরো একবার প্রমাণ হয়েছে আইনস্টাইনের অনুমান সঠিক ছিল।
কী সেই অনুমান?
সময় কোনো ধ্রুব একক নয়। ব্রম্ভাণ্ডের একেক স্থানে সময় গতির ওপর নির্ভর করে সময় স্থির হয়। সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের একাংশে আইনস্টাইন বলেছিলেন, পৃথিবীর আকার ও নির্দিষ্ট ছন্দে তার ঘূর্ণনের কারণে সময় পৃথিবীর সবস্থানে সমান গতিতে এগোবে না। তত্ত্ব অনুযায়ী সমুদ্রপৃষ্ঠে থাকা ব্যক্তির তুলনায় পাহাড় চূড়ায় থাকা ব্যক্তির বয়স বাড়বে দ্রুত। যদিও এই গতি মাইক্রোস্কোপিক। চট করে মাপা কঠিন। এই তাত্ত্বিক অনুমাণই এবার প্রমাণ করেছে নতুন উন্নততর পারমাণবিক ঘড়ি। এমনই দাবি করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে ছোটো স্কেলে সময়কে মাপতে সক্ষম এই ঘড়ি। এর ফলেই নিশ্চিত হয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ ও পাহাড়চূড়ায় সময়ের গতিবেগে ভগ্নাংশের হলেও ফারাক আছে। আর এর ফলেই প্রমাণ হয়েছে ১৯১৫ সালে তাত্ত্বিক ভাবে সঠিক ছিলেন আইনস্টাইন।