১৯৬৭-র জুলাইয়ের এক সকালে দক্ষিণ চিন সমুদ্রে দুটি মার্কিন বোমারু বি-৫২ বিমানের সংঘর্ষ হয়েছিল। দুটি বিমানেরই অভিমুখ ছিল দক্ষিণ ভিয়েতনামের দিকে। মার্কিন বিমানবাহিনীর ৬ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এয়ার ফোর্স, নেভি এবং উপকূলবাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীরা তল্লাশি চালিয়েও খুঁজে পায়নি তাঁদের। সেই ৬ জনের মধ্যে ছিলেন এক মার্কিন নেভিগেটর, মেজর পল এ আভোলিস।
আভোলিসের শরীরের অংশ শেষ পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে গতবছর। দক্ষিণ চিনের সমুদ্রের তলাতেই তিনি ছিলেন এত বছর! সমুদ্রের সেই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ছিল ভিয়েতনামের হাতে। ১৯৯৫-এর পর থেকে দুই দেশের চিরকালীন শত্রুতার তীব্রতা ধীরে ধীরে কমেছিল বলেই হয়ত আমেরিকার দুই ডাইভার নামতে পেরেছিলেন রোবট নিয়ে। নিখোঁজ হওয়ার সময়ে আভোলিসের বয়স ছিল ৩৫। দুই বোমারু বিমানের সংঘর্ষের আকাশে দেখা গিয়েছিল একটা অগ্নিবলয়। কিন্তু কীভাবে ধাক্কা লাগল তার ব্যাখ্যা আজও দিতে পারেনি মার্কিন সেনা।
গতবছর ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার বিজ্ঞানীরা বি-৫২ বোমারু বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পান। বিমানের সঙ্গে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল অ্যাভোলিসেরও শরীর! কিন্তু দেখলে কী হবে! দেহ তুলতে হলেও তো অনুমতি লাগবে! তাই ২৪ ঘন্টা পর আমেরিকা ও ভিয়েতনাম সরকারের অনুমতি নিয়ে আভোলিসকে তোলা হয়েছিল। আর সেই কার্যোদ্ধারে মূল ভূমিকা নিয়েছিল এক রোবট।