হাজার বছর পর আমাদের দেশ দেখতে কেমন হবে, আমরা কী ধরনের জীবন যাপনে অভ্যস্ত হব? বর্তমান সময় থেকে তা কতটা আলাদা হবে – জানতে ইচ্ছে হয়? অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জোনাথন কিটস, অ্যারিজোনার তাসকনে এক ক্যামেরা তৈরি করে স্থাপন করেছেন। মিলেনিয়াম ক্যামেরা নামে এই ক্যামেরা এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা হাজার বছর পরে তাসকনের একটা ছবি তুলতে সক্ষম হবে। এর নেপথ্য কারণ হল, অতীত, বর্তমান, এবং একত্রিশতম শতাব্দীতে ভবিষ্যৎ মানব জীবন সম্বন্ধে একটা গভীর ধারণা পেতে এই ক্যামেরা বানানো হয়েছে। ক্যামেরাটা একটা তামার সিলিন্ডার সহ একটা স্টিলের খুঁটি নিয়ে গঠিত। আলো সিলিন্ডারে প্রবেশ করার সাথে সাথে একটি পিন-আকারের গর্তের মধ্য দিয়ে একটা ২৪-ক্যারেট সোনার পাতলা শীটে পৌঁছোয়, তারপরে রোজ ম্যাডার নামক এক ধরনের তৈল রঞ্জকের পৃষ্ঠে পৌঁছোয়।
টুমামক পাহাড়ে একটি হাইকিং ট্রেইলের কাছে ক্যামেরাটি তাসকনকে লক্ষ করে সেট করা, এর সাথে একটা নোটিশ সাথে রয়েছে যা পথচারীদেরকে পরবর্তী সহস্রাব্দে কী হতে পারে তা প্রতিফলিত করতে উত্সাহিত করছে৷ যখন ছবিটি চূড়ান্তভাবে প্রকাশ পাবে, তখন ল্যান্ডস্কেপের একদম স্থির অংশগুলি সর্বাধিক পরিষ্কার দেখাবে, আর নিয়মিত পরিবর্তিত এলাকাগুলো আবছায়া রূপ ধারণ করবে। কিটসের অনুমান সম্ভবত প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপের রূপরেখা দৃঢ়ভাবে আঁকা হবে, আর স্থানীয় ভবনগুলোর সংখ্যা এবং নকশা শতাব্দী ধরে পরিবর্তিত হবে। তিনি বলেছেন, আমরা যদি বর্তমান থেকে হাজার বছর পিছিয়ে যেতে পারতাম তবে মধ্য যুগে পৌঁছে তরোয়াল, বর্শার লড়াই দেখতে পেতাম। তাই আজ থেকে সামনের হাজার বছর পরে কী হবে তা জানা বেশ আকর্ষণীয়। হাজার বছর পর জলবায়ু পরিবর্তিত হবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার হতে থাকবে আরও নানা পরিবর্তন ঘটবে। তার বক্তব্য এই ক্যামেরা কোনোভাবেই উন্নয়নের বিষয়ে জানাবে না, যে কীভাবে আমাদের শহর তৈরি করা উচিত বা কী করা উচিত নয়। এটি আমাদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে, কথোপকথনে শুরু করতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে নানা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সেট করা হয়েছে৷ তবে এই ক্যামেরার চূড়ান্ত ছবি পেতে হাজার বছর সময় লাগবে, তার আগে এটা নষ্ট হলে বা কেউ খুলে ফেললে এর উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে।