পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে, একটি উদ্ভিদের পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা তার বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রায়শই, জীবিত থাকার জন্য একটি উদ্ভিদকে তার বীজ ছড়িয়ে দেওয়ার স্থান পাল্টাতে হয়, কিন্তু আমরা জানি গাছপালা মাটি আঁকড়ে থাকে এবং নিজেরা নড়াচড়া করতে পারে না। পরিবর্তে, তারা তাদের বীজ একটি নতুন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাণী বা বাতাসের উপর নির্ভরশীল।
গাছপালা বাস্তুতন্ত্রে একটি অপরিহার্য মৌলিক ভূমিকা পালন করে, খাদ্য এবং ওষুধের মতো সংস্থান তৈরিতে সাহায্য করে যা মানুষের হিতের জন্য ব্যবহৃত হয়। অতএব, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জের মুখে উদ্ভিদ কীভাবে স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে পারে তা আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য, মিসৌরি এবং মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের একটি দল সম্প্রতি একটি উদ্ভাবনী গাণিতিক মডেল তৈরি করছে যা বলে দিতে পারে বাতাস কতদূর গাছের বীজ বহন করতে পারে কারণ বায়ুর গতির হেরফেরে এবং বীজের ওজন, আকার এবং আকৃতির ফলে বাতাস বীজকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ফেলতে পারে। এই মডেলের সাহায্যে জানা যাবে বীজের ধরন, উদ্ভিদের ধরন এবং বাতাসের গতির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একটি বীজ মাটিতে কোথায় অবতরণ করবে। নদীতে সৃষ্ট ঘূর্ণায়মান জলের স্রোতের মতো, বায়ুমণ্ডলে চারপাশে ঘূর্ণায়মান বাতাসের স্রোত রয়েছে। এই বাতাসের মাধ্যমে বীজও স্থানান্তর হতে পারে।
অন্যদিকে বাস্তুতন্ত্রের একটি অংশে পরিবর্তন অন্যান্য অংশেও তার প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, উদ্ভিদ বৈচিত্র্যের ক্ষতি সমগ্র বাস্তুতন্ত্রের স্থিতিশীলতাকে ব্যাহত করতে পারে এবং মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের জনসংখ্যাকে প্রভাবিত করতে পারে।
এই কারণেই বীজের বিচ্ছুরণ বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। যদি বাতাসের গতি কম থাকে, তবে একটি উদ্ভিদের বীজ সরাসরি গাছের নীচে পড়ে যেতে পারে এবং কোথাও ছড়িয়ে পড়তে পারে না। গবেষকদের মতে কীভাবে গাছপালা তাদের বীজ ছড়িয়ে দেয় তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ কারণ তবেই বিশ্লেষণ করা যাবে কীভাবে উদ্ভিদ জলবায়ু পরিবর্তন পরিচালনা করতে সক্ষম। এই মডেল, যা বীজ এবং উদ্ভিদের ধরন, উদ্ভিদের উচ্চতা এবং বাতাসের গতির উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যদ্বাণী করে, শুধুমাত্র এক বা দুই দিনের মধ্যে পুরো বছরের সম্ভব্য তথ্য তৈরি করতে পারে।