প্রতিবার যখন আমরা একটি কলার খোসা ছাড়িয়ে ফেলে দিই আমরা বুঝতেও পারিনা যে একটা সুস্বাদু, পুষ্টিকর খাবার ফেলে দিচ্ছি। গত বছর একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যদি কলার খোসা ভাপিয়ে নিয়ে, শুকিয়ে গুঁড়ো করে ময়দা তৈরি করা হয়, তবে সেগুলি দিয়ে বেকড খাবার প্রস্তুত করা যেতে পারে যা গম-ভিত্তিক পণ্যগুলির মতোই সুন্দর স্বাদযুক্ত হয়ে থাকে।
এটি খাওয়া শুধুমাত্র সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়, বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে এটি শরীরের জন্য বেশ ভালো। যখন তাদের পণ্যগুলির স্বাদ-পরীক্ষা করা হয়েছিল, তখন ভোক্তারা জানিয়েছেন যে তাদের এর স্বাদ বেশ ভালো লেগেছে, অনেকটা চিনির কুকির মতোই এর স্বাদ। এটি খনিজ লবণে সমৃদ্ধ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধকারী পুষ্টিগুণ রয়েছে।, গবেষণার খাতিরে তৈরি কলার খোসায় সমৃদ্ধ চিনির কুকিগুলিতে অনেক বেশি ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ রয়েছে। ২০১৬-র সমীক্ষায়, দেখা গেছে যে কলার খোসার ময়দা দিয়ে ১০ শতাংশ অবধি গমের ময়দা প্রতিস্থাপন করলে উচ্চ প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বিযুক্ত সামগ্রী আমরা সেই ময়দায় বা বেকড রুটিতে পেতে পারি।
এই ফলের ত্বক খাওয়া শুধুমাত্র একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প নয়, এটি খাদ্যের অপচয় কমাতে সাহায্য করতে পারে। একটি কলার ওজনের প্রায় ৪০ শতাংশ হল এর খোসা এবং বেশিরভাগ সময়, আমরা এই পুষ্টি-সমৃদ্ধ ত্বকটি ফেলে দিয়ে থাকি। তবে কলার খোসা কাঁচা অবস্থায় অকেজো। কিন্তু এটি সঠিকভাবে প্রস্তুত করলে, বেশ ভালো স্বাদবিশিষ্ট হয়। খোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকায় এগুলি কিছু পণ্যের শেলফ লাইফও বাড়িয়ে দিতে পারে। আমের ত্বকের মতো অন্যান্য ফলের খোসার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য, যা কেকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য বাড়াতে এবং এর স্বাদ উন্নত করতেও পারে। গবেষণাটি এসিএস ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে।