প্রোটিন আমাদের খাদ্যের একটি অপরিহার্য ম্যাক্রো-নিউট্রিয়েন্ট যা আমাদের শক্তি সরবরাহ করে এবং পেশী, হাড়, শরীরের কলা গঠনে সাহায্য করে এবং হরমোন এবং এনজাইম তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাণীজ খাবার যেমন দুধ, মাছ, মাংস এবং ডিমকে আমরা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বলে থাকি। কিন্তু কিছু উদ্ভিদজাত খাদ্য যেমন রুটি, দানাশস্য এবং ডালও প্রোটিনের মূল্যবান উৎস। একজন বছর ৫০-এর মহিলার ক্ষেত্রে আমরা সচরাচর বলে থাকি যে প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি কারণ আমরা জানি যে মধ্যজীবনে প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। সাধারণত বলা হয় যে ৭০ কেজি ওজনের একজন মহিলার প্রতিদিন প্রায় ১৫০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন অর্থাৎ যদি একটি ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে তবে সেই মহিলার শরীরের প্রোটিনের চাহিদা প্রায় ২৫টি সেদ্ধ ডিমের মাধ্যমে পূরণ হবে।
জন্মের সময় একটি শিশুর বিকাশের জন্য তার ওজনের প্রতি কেজিতে ১.৪৩ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন যা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে ০.৬৮ গ্রাম ও একজন মহিলার ক্ষেত্রে তা ০.৬০ গ্রাম। অন্যদিকে ৭০ বছরের উর্ধে একজন পুরুষের ক্ষেত্রে প্রোটিনের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ০.৮৬ গ্রাম ও একজন মহিলার ক্ষেত্রে ০.৭৫ গ্রাম। সুতরাং, মধ্যজীবনে বয়সজনিত পেশী ক্ষয় রোধ করতে বা হরমোনের পরিবর্তনের সাথে সাথে উচ্চ প্রোটিনের চাহিদা দেখা দেয়। মধ্যবয়সী মহিলাদের প্রোটিন গ্রহণের উপর করা বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রাণীজ প্রটিনের তুলনায় উদ্ভিজ্জ প্রোটিন বেশি পরিমাণে গ্রহণের ফলে যেমন ঋতুবন্ধ দেরি করে ঘটেছে তেমনই শারীরিক দুর্বলতা হ্রাস পেয়েছে ফলত পড়ে যাওয়া, শারীরিক অক্ষমতা, রোগের কারণে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকিও হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে দেখা গেছে বেশি পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করলে খুব তাড়াতাড়ি পেট ভরে যায় বা একটা পূর্ণতার অনুভূতি হয় যা শরীরের ওজন কমাতে এবং পেশীর ভর বজায় রাখতে সাহায্য করে।