শিশুরা তাদের স্কুল-পরবর্তী সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মোবাইল দেখে ব্যয় করে আর এর ফলে তাদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার উপর বেশ ক্ষতিকারক প্রভাব পরছে। শিশুরা অনলাইন ডোমেনে অনেক ক্ষতিকারক বিষয়ের সম্মুখীন হচ্ছে বা তাদের সাইবার বুলিং-এর সম্মুখীন হতে হচ্ছে যা অবিলম্বে নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন। নিউজিল্যান্ডের ওটাগো ইউনিভার্সিটির গবেষকরা, নজরদারিবিহীন ডিজিটাল জগতে সম্ভাব্য বিপদ থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য নিয়মের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে তাদের সদ্য প্রকাশিত গবেষণায় ১২ বছর বয়সী শিশুদের স্কুল-পরবর্তী রুটিন পর্যবেক্ষণ করে দেখেন। তারা দেখেন যে শিশুরা তাদের স্কুল-পরবর্তী সময়ের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মোবাইল দেখে ব্যয় করে এবং রাত ৮টার পর ছেলেমেয়েরা তাদের অর্ধেক সময় মোবাইল নিয়ে কাটিয়ে দেয়।
শিশুরা বেশিরভাগই গেম খেলে বা বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম দেখে। দশ শতাংশ সময় শিশুরা একাধিক স্ক্রিন ব্যবহার করে। মোবাইল ব্যবহার শিশুদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার ক্ষতি করে। ডাঃ স্মিথের মতে এর ফলে স্থূলতা, মানসিক অসুস্থতা, কম সময় ঘুম এবং শারীরিক কার্যকলাপের অভাব ঘটে। শিশুদের মনোনিবেশ এবং তাদের আচরণ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে। মোবাইল এখন বাচ্চাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন মোবাইল ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এখনও তারা প্রায়শই মোবাইলে বা স্মার্টফোনে সময় ব্যয় করছে। সাম্প্রতিক মিডিয়া ব্যবহারের সমীক্ষা অনুসারে, ইউটিউব এবং নেটফ্লিক্স হল সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। বাচ্চারা ধূমপান, মদ্যপান, জুয়া, জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপন দেখছে এবং যৌনতা, বর্ণ বৈষম্য ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে উত্পীড়নের সম্মুখীন হচ্ছে। মোবাইল ব্যবহারের বেশ কিছু উপকারিতা থাকলেও শিশুদের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের এই অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও তার ক্ষতি থেকে রক্ষা করা দরকার।