৪২ সংখ্যা দিয়ে ইতিহাস তৈরি করল প্যাডারবর্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কেইউ লিউভেনের বিজ্ঞানীরা। তথাকথিত নবম ডেডেকিন্ড সংখ্যা দিয়ে গণিতের এক দশকের পুরনো রহস্য উন্মোচন করেছেন তারা। ১৯৯১ সাল থেকেই সারা বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা সংখ্যাটি অনুসন্ধান করছেন। প্যাডারবর্নের বিজ্ঞানীরা সেখানে অবস্থিত নকটুয়া সুপার কম্পিউটারের সাহায্যে সংখ্যার সঠিক ক্রমানুসারে পৌঁছেছেন। গবেষণার ফলাফল সেপ্টেম্বরে নরওয়েতে বুলিয়ান ফাংশন অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন (বিএফএ-এর আন্তর্জাতিক কর্মশালায় উপস্থাপন করা হবে।
লেনার্ট ভ্যান হির্টাম প্রথম এই খোঁজ শুরু করেছিলেন। তখন তিনি কেইউ লিউভেনের কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র। আর আজ যখন এই সংখ্যাটি আবিষ্কার হল, তিনি প্যাডারবর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী গবেষক। এই সিরিজের আগের সংখ্যাগুলি ১৮৯৭ সালে প্রথম গণিতজ্ঞ রিচার্ড ডেডেকিন্ড নিজেই খুঁজে পেয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে র্যানডলফ চার্চ এবং মরগান ওয়ার্ডের মতো কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ্ররা কাজটি করেন। ভ্যান হির্টাম বলেছেন যে বিগত প্রায় ৩২ বছর ধরে, D(9) এর গণনা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল, এবং এই সংখ্যাটি আদৌ গণনা করা সম্ভব হবে কিনা তা সন্দেহজনক ছিল। ডেডেকিন্ড সিকোয়েন্সের পূর্ববর্তী সংখ্যা, অষ্টম ডেডেকিন্ড সংখ্যা, ১৯৯১ সালে সেই সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে পাওয়া গিয়েছিল। সুতরাং এটি অনুমেয় ছিল যে কোনো বড়ো সুপার কম্পিউটার নবমতম সংখ্যা গণনা করতে পারবে। বেশ কয়েক বছরের চেষ্টার পর, প্রোগ্রামটি প্রায় পাঁচ মাস ধরে সুপার কম্পিউটারে চলে এবং তারপর বিজ্ঞানীরা নবমতম ডেডেকিন্ড নম্বরটি খুঁজে পেয়েছেন। সংখ্যাটি হল- 286386577668298411128469151667598498812366।