বৈদ্যুতিক চার্জবিহীন ক্ষুদ্র পারমাণবিক কণা, নিউট্রিনো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ব্যাপী ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই কণা তাদের উৎপত্তিস্থল থেকে উৎপন্ন হয়ে গ্যাস, ধূলো, এমনকি তারার মধ্যেও অবিকৃতভাবে চলাফেরা করতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অ্যান্টার্কটিকার আইসকিউব ডিটেক্টরে এক দশক ধরে সংগৃহীত তথ্য একত্রিত করে, গবেষকরা আকাশগঙ্গার অভ্যন্তর থেকে উদ্ভূত প্রথম উচ্চ-শক্তির নিউট্রিনোর অস্তিত্বের প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন এবং এই কণাগুলোকে ছায়াপথের সামতলিক চিত্রে ম্যাপিং করেছেন। এই ম্যাপিং থেকে ৩০ শে জুন সায়েন্সে গবেষকের দল জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট উচ্চ-শক্তির নিউট্রিনোর উত্স হল আকাশগঙ্গার মধ্যে অতীতে সুপারনোভা নক্ষত্রের বিস্ফোরণের অবশিষ্টাংশ বা ভেঙে পড়া বিশালাকৃতি নক্ষত্রের অভ্যন্তরভাগ। এই প্রথম আমাদের ছায়াপথে আলো ছাড়া পারমাণবিক ভর আছে এমন কোনো কণার সন্ধান পাওয়া গেল। সমস্যা হল নিউট্রিনো সনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন। অ্যান্টার্কটিকা বরফে প্রোথিত এই বিশাল আইসকিউব ৫,১৬০ টা সেন্সর নিয়ে গঠিত। আকাশগঙ্গা এবং মহাবিশ্বের অন্যান্য স্থান থেকে মহাকাশে নিউট্রিনোগুলির ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ উড়লেও এই আইসকিউবে তাদের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।