বায়োফিল্ম – ব্যাকটেরিয়ার কলোনি বলা চলে। তবে জটিল। আমাদের চারিদিকে অগুনতি ছড়িয়ে রয়েছে। পনিরের উপরে, ঝরনার নীচে পাথরের গায়ে বা আমাদের দাঁতের ভেতর – কোথায় নেই বায়োফিল্ম!
এই বায়োফিল্মের মধ্যে বাস করে ব্যাকটেরিয়াও নানাভাবে উপকৃত হয়। পোষণের (খাদ্য) ভাগ পাওয়া, শত্রুর বিরুদ্ধে নিরাপদ আশ্রয়, অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে লড়াই করবার শক্তি, ইত্যাদি আরও অনেক।
কিন্তু যদি হালচাল খারাপ হতে শুরু করে বায়োফিল্মের? তখন ঐ জায়গা ছেড়ে যাওয়াটাই ব্যাকটেরিয়ার জন্যে ভালো। অন্য কোনও সুরক্ষিত জায়গায় আবার বসতি গড়তে পারে তারা।
কিন্তু কাওলোব্যাকটার ক্রেসেন্টাসের নামক ব্যাক্টেরিয়ামের জন্য ব্যাপারটা আলাদা। বায়োফিল্ম তাদের কাছে যেন যাবজ্জীবন কারাবাসের মতো। বেশ পোক্ত আঠা দিয়ে ব্যাকটেরিয়া কোষের একটা প্রান্ত বায়োফিল্মের সাথে একেবারে আটকে থাকে। মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ইভেস ব্রুন এমনটাই জানাচ্ছেন। কিন্তু এই ক্রেসেন্টাস কিন্তু পরার্থপর। কোষ বিভাজনের সময় যখন নতুন কোষ তৈরি হয়, সেই সহোদরার জন্য কিন্তু সুযোগ রাখে তারা। নতুন কোষ ঐ প্রতিকূল বায়োফিল্মের মধ্যে থাকতেও পারে, নয়তো বেরিয়ে যেতে পারে।