বেড়ে চলেছে আমার আপনার এই চেনা মহাজগত। তবে মানুষের মতো বছরে কয়েক সেন্টিমিটার বাড়া তার পক্ষে সম্ভব নয়, তার বৃদ্ধি মাপতে লাগে আলোকবর্ষের মাপকাঠি। আর মহাশূন্যের এই বৃদ্ধিতেই সম্প্রতি অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করেছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা।
নীহারিকা, নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে নিউট্রন স্টার বা ছায়াপথ ― ‘অবজার্ভেবল ইউনিভার্স’-এর পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে রহস্য। কোথাও ব্ল্যাক হোল গিলে খাচ্ছে রাশি রাশি নক্ষত্র, কোথাও বা গড পার্টিকল ঘটিয়ে চলেছে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের আয়ত্তের বাইরে থাকা কোনও জটিল বিক্রিয়া! এমনই রহস্যে মোড়া জগৎসংসার ফুলে ফেঁপে উঠছে ক্রমশ, বাড়ছে তার বহর।
গত 30 বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ছবি তুলে তথ্য সংগ্ৰহ করে চলেছে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। তিন দশকের ছবি বিশ্লেষণ করে নাসার বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছেন যে কোথাও একটা গলদ রয়েছে। প্রতি মেগাপার্সেকে 67.5 কিমি/সেকেন্ড বেগে বাড়ার কথা থাকলেও ব্রহ্মাণ্ডের ক্ষেত্রে এই গতি এখন প্রায় 74 কিমি/সেকেন্ড! গণনার ক্ষেত্রে প্রতি মেগাপার্সেকে ‘মার্জিন অফ এরর’ মাত্র 0.5, সেখানে ত্রুটি প্রায় 6-6.5 কিমি/সেকেন্ড, স্বভাবতই চিন্তিত গবেষকরা। প্রসঙ্গত, 0.00000001 মেগাপার্সেক প্রায় 31 হাজার কিলোমিটারের সমান।