সিঙ্গাপুর আর তার চারপাশের অঞ্চলগুলো থেকে গত এক দশকের সংগৃহীত তথ্য থেকে ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত উঠে আসছে। বাতাসে ছোট্ট ছোট্ট কণার ঘনত্ব বেড়ে গেলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো ঘটনার সংখ্যাও বাড়বে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে দূষণের ভূত হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই মত সংশ্লিষ্ট গবেষকদের।
মানুষের চুলের চেয়ে ২৫গুণ ছোট আকারের কণার সন্ধানে ছিলেন বিজ্ঞানীরা। এদের পিএম২.৫ কণা বলা হয় অর্থাৎ এদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটার। এতটা সূক্ষ্ম আকারের কারণেই এইসব কণা খুব সহজেই শ্বাসপ্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। আরও মারাত্মক বিষয় এই যে এদের উপস্থিতিতে একগুচ্ছ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে, এমনকি অটোইমিউন ডিজিজও।
২০১০ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস অবধি নিরবিচ্ছিন্নভাবে আউট-অফ-হসপিটাল কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (ওএইচসিএ) –এর ঘটনা নজরে রাখা হয়েছিল। সংখ্যাটা ১৮০০০-এর বেশি। সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের পর গবেষকরা বলছেন, এদের মধ্যে ৪৯২টা কেসে মূল প্রভাব ছিল বাতাসে পিএম২.৫ কণার ঘনত্ব বৃদ্ধি পাওয়া।
সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিডেমোলজিস্ট জোয়েল আইক বলছেন, খুব নিশ্চিতভাবেই আমরা পিএম২.৫ কণার সাথে হার্ট অ্যাটাকের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছি। অনেকক্ষেত্রেই যা মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু ঘটায় রোগীদের।