ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এসে ফসলভরা ক্ষেত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সাবাড় করে দিতে পারে পঙ্গপালের দল। কিন্তু পরিযায়ী পঙ্গপালের আরেকটা বৈশিষ্ট্য শুনলে চক্ষু চড়কগাছ হবে। এই পতঙ্গ নাকি নিজের দলেরই অন্য সদস্যকে গিলে খায়। অর্থাৎ, স্বজাতিভক্ষণ পঙ্গপালের দলের এক বিশেষ চরিত্র।
এতদিন পর্যন্ত, বিজ্ঞানীরা মনে করতেন ঝাঁকে ঝাঁকে ওড়ার স্বভাবের সাথে এই স্বজাতিভক্ষণ বা ক্যানিবলিজমের সম্পর্ক আছে। দলের মধ্যে প্রত্যেক পঙ্গপাল একই প্রজাতির অন্য সদস্যকে সাবাড় করার জন্য মুখিয়ে থাকে।
সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাপত্র বলছে এক ফেরোমেনের কথা। ফেনাইলঅ্যাসিটোনাইট্রাইল বা সংক্ষেপে পিএএন। বড়ো দলে যখন পঙ্গপাল থাকে, তখনই তাদের দেহে এই রাসায়নিক তৈরি হয়। এই ফেরোমেনের সাহায্যেই ঝাঁকের মধ্যে অন্য পঙ্গপালকে চিহ্নিত করতে পারে।
জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক বিল হ্যানসন ছিলেন মুখ্য গবেষক। তিনি বলছেন, ফেনাইলঅ্যাসিটোনাইট্রাইল বা প্যান-কে যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিংবা এই ফেরোমেনের গ্রাহককে যদি প্রভাবিত করা যায় তাহলে পঙ্গপাল নিজেরাই নিজেদের খেয়ে সংখ্যাটা কমাবে। তাতে চাষের ক্ষতি আটকানো যাবে আর খাদ্যসুরক্ষার দিকটাও পোক্ত হবে।