আলোর প্রভাবে পরপর ঘটে চলা কয়েকটা রাসায়নিক বিক্রিয়া। তা থেকেই সমস্ত উদ্ভিদ, কিছু ব্যাকটেরিয়া আর শৈবাল শক্তি উৎপাদন করে। কিন্তু পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চারের জন্য অপরিহার্য এই সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার আরম্ভ কীভাবে হয়? বিজ্ঞানীরা বলছেন আলোর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম একক, একটামাত্র ফোটন কণার উপস্থিতিতেই এই সবুজ যজ্ঞ শুরু হয়ে যায়।
মার্কিন মুলুকের একদল গবেষক রোডোব্যাকটার স্পেরয়েডস নামক এক বেগুনি ব্যাকটেরিয়ার দেহে সালোকসংশ্লেষ লক্ষ্য করেছেন। কোয়ান্টাম অপটিক্স অ্যান্ড বায়োলজি নামক পত্রিকায় তাঁদের পর্যবেক্ষণ প্রকাশিত হল সম্প্রতি।
সূর্য থেকে আগত ফোটন কণার সংস্পর্শে ক্লোরোফিলের মধ্যে থাকা ইলেকট্রন উত্তেজিত হয়। তারপরেই সালোকসংশ্লেষের এই জটিল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। সেখান থেকে শর্করা অণুর গঠনগত উপাদানের জন্ম হয়। সেখান থেকেই উদ্ভিদের শরীরে পুষ্টিদ্রব্যের জোগান আসে। সেই একই পদ্ধতির বাইপ্রডাক্ট রূপেই অক্সিজেন সৃষ্টি হয়।
সূর্য থেকে বিপুল পরিমাণে ফোটন কণা আসে না। একটা সাধারণ রোদ ঝলমলে দিনে প্রত্যেক ক্লোরোফিল অণুতে প্রতি সেকেন্ডে মোটামুটি হাজারটা ফোটন কণা এসে পৌঁছায়। ঐ বেগুনি ব্যাকটেরিয়ার শরীরে লাইট-হাভেস্টিং ২ কমপ্লেক্স বা সংক্ষেপে এলএইচ-২ থাকে। এই প্রোটিনের জন্যই একটা বিশেষ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ফোটন কণা শোষিত হয় ক্লোরোফিলের দ্বারা।