তিনটেই পৃথক বিষয় মনে হবে প্রথম নজরে। কিন্তু যুবক যুবতিদের জীবনে একটু উঁকি দিলেই দেখা যাবে ব্যাপারগুলো মোটেই একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। বরং বেশ পোক্ত সুতো দিয়েই গোপনে বাঁধা রয়েছে।
দ্বিতীয় ইস্যুটা নিয়েই প্রথমে বলা যাক। বডি ইমেজ – অর্থাৎ আমার নিজের শরীরের গড়ন নিয়ে আমারই নিজের ধারনা। শারীরিক গঠন যথেষ্ট আকর্ষণীয় কিনা, গায়ের রঙ, পেটের মেদ, চুলের ছাঁট – অস্ট্রেলিয়াতেই (ওই দেশেই গবেষণাটা হয়েছে, কিন্তু ছবিটা সব দেশেই একই) যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে শতকরা ৭৬ জনের জীবনে মূল ব্যক্তিগত চিন্তার বিষয় তাদের নিজ নিজ বডি ইমেজ।
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের হিড়িকটা কারোরই চোখ এড়ায় না। ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট কিংবা টিকটকের মতো সোশাল মিডিয়াতে কিশোর কিশোরীদের ভিড়। আর তৃতীয় সমস্যাটা উন্নত দেশগুলো থেকে উন্নয়নশীল দেশে গোপন ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এই তিনটে আলাদা বিষয়ের মধ্যে জনস্বাস্থ্যের একটা বড়ো সমস্যা দানা বেঁধে রয়েছে, সেটা এই প্রথম গবেষণার মধ্যে দিয়ে আমাদের সামনে এলো।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকরা ১৭টা দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৫০টা বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র সংগ্রহ করে বিচার বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। সেখানেই সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার, বডি ইমেজের সমস্যা আর বাজে খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে স্পষ্ট সংযোগ রয়েছে বলেই প্রমাণ হয়েছে।
নিজের শারীরিক গড়ন নিয়ে বিতৃষ্ণা আর ভুলভাল খাবার খাওয়ার সমস্যাটা এক সূত্রে গাঁথা। সেটাকেই উস্কে দেয় সোশাল মিডিয়ার ব্যবহার। নিজের ওজন আর দেহের আকার নিয়ে মনের মধ্যে খুঁতখুঁতানি থাকলেই সেটা খাদ্যাভ্যাসে প্রভাব ফেলে। তা থেকে কার্ডিওভাস্কুলার রোগজ্বালা, হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া বা মানসিক সমস্যার জন্ম হতে পারে।