২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীতে মানুষের গুনতি গিয়ে পৌঁছবে ৯.৮ বিলিয়নে। উৎপাদনের পরিকল্পনা আর খাবারের বন্দোবস্ত করতে নাভিশ্বাস উঠবে বিভিন্ন দেশের প্রশাসনের। নতুন গবেষণা বলছে, সামুদ্রিক আগাছার বাণিজ্যিক চাষে উপকৃত হবে গোটা দুনিয়া। কিন্তু সবার মুখে কি রুচবে এই খাবার?
জাপান, দুই কোরিয়া আর চীনে কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে খাদ্যতালিকায় ঢুকে পড়েছে সি-উইড বা সামুদ্রিক সবজি। ইদানিং নরওয়ে, আইসল্যান্ড এমনকি ইংল্যান্ডের কিছু কিছু জায়গায় এই খাবারের প্রচলন হয়েছে। প্রথম বিশ্বের কয়েকটা তাবড় দেশের বিখ্যাত সব খাবারের উপকরণ হিসেবে সামুদ্রিক আগাছার ব্যবহার বাড়ছে।
সামুদ্রিক আগাছা মেশানো চা, পাস্তা, কেল্প সালসা জনপ্রিয় হচ্ছে ক্রমশ। কিন্তু খাবারের স্বাদের দিকটা বাদ দিলেও একটা উল্লেখ করবার মতো তথ্য পড়ে থাকে। জলবায়ু সংকটের মোকাবিলায় এই সি-উইড হয়ে উঠতে পারে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। বোটানিকা মেরিনা পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, কার্বন শোষণে বড়ো ভূমিকা পালন করবে সামুদ্রিক আগাছা। এমনকি সমুদ্রদূষণ রোধেও কার্যকরী হবে এই চাষ। বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য আর পেট ভরা – দুটো কাজই যখন সম্ভব তখন এই নতুন সদস্যকে খাবার প্লেটে ডেকে নিতে আপত্তি কোথায়?