শক্তি উৎপাদনে বিপ্লব আনতে কমদামী অথচ উন্নততর ব্যাটারি তৈরি করার হুড়োহুড়ি চলছে গোটা বিশ্ব জুড়েই। বিদ্যুৎকেন্দ্রে এনার্জি গ্রিডে শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে তরল পদার্থে তৈরি ফ্লো ব্যাটারির গুরুত্ব বাড়ছে। এগুলো খরচে কম, অনেকদিন চলে বলে ফ্লো ব্যাটারির জনপ্রিয়তা উন্নত দেশগুলোতে ক্রমেই উর্দ্ধমুখী।
এনার্জি গ্রিডে ব্যবহৃত ব্যাটারির বৈচিত্র্য চাইছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির গবেষকরা। আয়রন ফ্লো ব্যাটারিকে তাঁরা কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর। ব্রিসবেনের ‘ন্যাশানাল ব্যাটারি টেস্টিং সেন্টার’-এ সে ব্যাপারে গবেষণা চলছে জোরকদমে।
প্রকল্পের প্রধান কর্ণধার ডঃ জোশুয়া ওয়াটস বললেন, বেশি মাত্রায় দীর্ঘ সময়ের জন্য শক্তির সঞ্চয় করতে হলে আয়রন ফ্লো ব্যাটারিই সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে। অচিরাচরিত শক্তির উৎস কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন নয়। রোজ ভালো রোদ নাও উঠতে পারে কিংবা হাওয়া বইবে কিনা তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। সেইসব ক্ষেত্রে আগে থেকে সঞ্চিত শক্তিই কাজে আসে, আর সেই কাজটা আয়রন ফ্লো ব্যাটারির সাহায্যে সহজেই করা যায়।
ডঃ ওয়াটস জানালেন ব্যাটারিগুলো ১২ মিটার লম্বা। কমপক্ষে ৭৫ কিলোওয়াট/৪০০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা পরিষেবা দিতে পারে। ওয়াটস পরিষ্কার করে দিচ্ছেন এই বিশেষ ব্যাটারির ব্যবহারিক দিকটা। খুচরো কাজের জন্যে এটা তৈরি করা হচ্ছে না। বরং যেসব সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বা বায়ুকলে বড়ো মাত্রায় শক্তি উৎপাদন হয়, সেখানেই কাজে লাগবে আয়রন ফ্লো ব্যাটারি।