আমাদের পৃথিবীর বুকে প্রায় ৪৮ কোটি বছর ধরে পোকামাকড় বা কীট পতঙ্গ চলাফেরা করছে, মাটির ভিতরে বাসা বাঁধছে বা উড়ে বেরাচ্ছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বিজ্ঞানীদের অবাক করে গুটি কয়েক প্রজাতিই সমুদ্রের গভীরে বাস করে। বিজ্ঞানীরা তাই এর কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের এক গবেষণা দল সম্প্রতি দাবি করেছে যে তারা এই দীর্ঘদিনের প্রশ্নের এক সহজ ব্যাখ্যা আবিষ্কার করেছেন ।তাদের মতে মাল্টিকপার অক্সিডেস-২ (MCO2) নামে এক অনন্য এনজাইম বা উতসেচক পোকামাকড়কে তাদের আবরণ শক্ত করতে সাহায্য করে। আর এই কারণেই তারা সামুদ্রিক পরিবেশে বিরল কিন্তু স্থলভাগে বসবাস করে।
পোকামকড়ের শরীরে কিউটিকল বা আবরণ হল এক প্রতিরক্ষামূলক স্তর যা শরীরের পৃষ্ঠকে ঢেকে রাখে, শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং জীবাণু থেকে প্রতিরোধ করে। একটি সুন্দর আবরণ ছাড়াও, এটি শরীরকে বাইরের শক্তি থেকে রক্ষা করে এবং শরীরের আকৃতি এবং গতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। টোকিও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানী সুনাকি আসানো আগেই দেখিয়েছেন যে পোকামাকড় একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার সাহায্যে তাদের দেহের আবরণকে শক্ত করার জন্য আণবিক অক্সিজেন এবং MCO2 ব্যবহার করে। আসানো এবং তার সহকর্মীদের প্রকাশিত পর্যালোচনায় তার ব্যাখ্যা করেছেন এই মাল্টিকপার অক্সিডেস-২ –এর কারণে বিভিন্ন প্রাণীদের সমুদ্রে বসবাস করতে অসুবিধা হয় অথচ ডাঙায় বসবাস করার ক্ষেত্রে এটি তাদের সহায়তা করে। তারা আরো বলেন যে বাতাসে অক্সিজেনের উপস্থিতি স্থল্ভাগকে পোকামাকড়ের বসবাসের জন্য অনেক বেশি সহায়তা