সব মানুষের শরীরের গন্ধ একধরনের নয়। বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে ‘বডি ওডার’ বিভিন্ন। আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে মশাদের দল সেটা সূক্ষ্মভাবে বোঝে। আর সেই মতো তাদের পছন্দও বদলায়। ঘুমনোর সময় মানুষের গায়ের গন্ধ আর কার্বন ডাইঅক্সাইডের তারতম্য বুঝে মানুষকে আক্রমণ করে মশা। আফ্রিকায় জাম্বিয়ায় একটা বড়ো গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, মানুষের গায়ের গন্ধ নিয়ে পসন্দ না-পসন্দ রয়েছে মশাদের। যেমন, খাবার নিয়ে মানুষের হাজারো বিচার।
মশাদের পছন্দ অপছন্দের ক্ষেত্রে গায়ের গন্ধের সাথে গুরুত্ব রয়েছে কার্বন ডাইঅক্সাইডেরও। সেটা প্রমাণ করতেই আমেরিকা আর জাম্বিয়ার বিজ্ঞানীরা একত্রে এই পরীক্ষায় নেমেছিলেন। বানানো হয় ২০ বর্গমিটারের একটা ‘ফ্লাইট কেজ এরিনা’। তারপর ২০০টা ক্ষুধার্ত মশাকে সেই এরিনায় ছেড়ে দিয়ে ইনফ্রারেড মোশান ক্যামেরার সাহায্যে তাদের সম্পূর্ণ গতিবিধি রেকর্ড করা হয়।
জনস হপকিন্স ম্যালেরিয়া রিসার্চ ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কনর ম্যাকমেনিম্যান বলছেন, এই মশার দল মধ্যরাতের ঠিক আগে আর ঠিক পরে আক্রমণ করে মানুষকে। সময়টা আরও বিশেষভাবে বললে রাত দশটা আর রাত দুটো।
গবেষণার জন্য মানুষের শরীরের আদলেই ঈষৎউষ্ণ ‘ল্যান্ডিং প্যাড’ রাখা হয়েছিল। মশারা মানুষের দেহ ভেবে তাদের উপরেই বসে। আবার, কোনও কোনও ল্যান্ডিং প্যাডে কার্বন ডাইঅক্সাইড আর মানুষের গায়ের গন্ধ স্প্রে করা ছিল। কোনও কোনওটায় ছিল না এই ব্যবস্থা। দেখা গেছে কার্বন ডাইঅক্সাইড না থাকলে ল্যান্ডিং প্যাডে মোটেই বসছে না কোনও মশা।