ফুলের মধুর সন্ধানে বেশ খাটাখাটনি হয় মৌমাছির মতো পতঙ্গদের। তাই পরিশ্রম বিফলে না যাওয়াই শ্রেয়। যদিও নতুন গবেষণা বলছে, ফুলের আকার আকৃতি কিংবা পাপড়ির উপর নকশা মৌমাছিদের মধু খুঁজতে সাহায্য করে।
পতঙ্গদের জন্যে এই ব্যবস্থাকে বিজ্ঞানীরা জিপিএস বলছেন। বেশিরভাগ ফুলের পাপড়িতেই বিশেষ রকমের ছাঁদ থাকে। এই নকশাকে জীববিদ্যায় ‘নেকটার গাইড’ বলে। পরাগসংযোগী পতঙ্গদের এরা রাস্তা দেখায়। সবচেয়ে কম উড়ে কোন পথে মধু সংগ্রহ করা যাবে। ফলে স্বভাবতই মৌমাছিদের খাদ্যসংগ্রহ করতে সুবিধে হয় আর তারা আরও কার্যকরী হয়ে ওঠে। একইসাথে পরাগ সংযোগের কাজটাও মসৃণ হয়।
জার্মানির বাভারিয়া প্রদেশে অবস্থিত জুলিয়াস ম্যাক্সিমিলিয়ানস ইউনিভার্সিটি উর্জবার্গের একদল গবেষক পতঙ্গ আর ফুলের এই মধুর সম্পর্কের প্রতিটা ধাপ খতিয়ে দেখেছেন। বম্বাস টেরেসট্রিস প্রজাতির মৌমাছিদের মধু সংগ্রহের দক্ষতা কীভাবে বেড়ে যায় ফুলের নকশার উপর নির্ভর করে সেটা তাঁরা হাতেকলমে প্রমাণ করলেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ফুলের পাপড়ির ছাঁদের সাহায্যে গড়ে একটা মৌমাছির মধু সন্ধান করার সময়টা ৩০% কমে যায়।