শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্যে নিয়মিত দৌড়ের উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু বিপদও আছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যদি প্রতিদিনের সমস্যা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে দৌড়ের মতো শরীরচর্চা করা হয়, তাহলে ফল হবে উল্টো। কসরতের ‘নেশায়’ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শরীরচর্চার বাড়াবাড়ি একটা বিশেষ ধরণের আসক্তি। তাতে অনিয়ন্ত্রিত, অতিরিক্ত শারীরিক কসরতের অভ্যেস তৈরি হয়ে যায়। শারীরিক যন্ত্রণা, আঘাত থেকে শুরু করে দুর্বলতা – অনেকগুলো সমস্যার সম্ভাবনা রয়েছে।
‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজি’ পত্রিকায় গত সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র। খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে পালানোর জন্যে যদি কসরত করা হয় তাহলে ফল ভালো হয় না। এটা এক প্রকারের পলায়ন-প্রবৃত্তি হয়ে দাঁড়ায়।
নরয়েজিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পেডাগগিক সাইকোলজির অধ্যাপক ফ্রোড স্টেন্সেং এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। ওনার ভাষায়, পলায়নের মনোভাব মানুষের নিত্যদিনের জীবনের একটা অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই মনোবৃত্তি কীভাবে শারীরিক গতিবিধি আর মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করে সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়নি। সমস্যা থেকে পালানোর জন্যে শারীরিক কসরতের প্রেরণাও সৃষ্টি হয় অনেক মানুষের মনে।
অথচ বহুদিন ধরেই পলায়ন-প্রবৃত্তির সংজ্ঞা দেওয়া হত একটা সক্রিয়তা হিসেবেই। যা কিনা একটা বিনোদনের মতো, বিরক্তিকর বা অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতাকে দূরে সরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। সেই অনুযায়ী আমাদের রোজকার অনেক কাজই পলায়ন-প্রবণতা বলে ব্যাখ্যা করা যায়।