শ্রেফ বোকাসোকা গুহাবাসী মোটেই ছিল না নিয়েন্ডারথাল মানবগোষ্ঠী। তাদের খাবারের তালিকা দেখে মোটেই প্রাগৈতিহাসিক আধা-মানুষ বলে মনে হবে না। ৯০০০০ বছর আগেকার নিদর্শন খুঁজে পেয়ে প্রত্নতাত্ত্বিকদের খুশির অন্ত নেই তাই।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের দক্ষিণে এক গুহায় অনুসন্ধানের পর নিয়েন্ডারথালের জীবন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেল। পাথরের অস্ত্রশস্ত্র, চারকোল, খোলক আর হাড়গোড়ের সাথে গ্রুতা দে ফিগুইরা ব্রাভাতে গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন কাঁকড়ার দেহাংশ। সেটাও রান্না করা। অর্থাৎ দক্ষিণ পর্তুগালের সমুদ্র উপকূল বরাবর যে নিয়েন্ডারথাল গোষ্ঠীর মানবজাতির বসবাস ছিল তারা রীতিমতো রান্না করে কাঁকড়া খেত।
অন্য অনেক খোলকওলা মাছের নমুনা মিললেও, বেশিটাই ছিল বাদামি রঙের কাঁকড়া। ক্যাটাল্যান ইন্সটিটিউট অফ হিউম্যান প্যালেওইকোলজি অ্যান্ড সোশাল এভলিউশানের অধ্যাপক ডঃ মারিয়ানা নাবাইস বলছেন, শেষ তুষার যুগে ইতি পড়ার পর থেকেই নিয়েন্ডারথাল গোষ্ঠীর মানুষ নিয়মিত কাঁকড়া শিকার/সংগ্রহ করত। হয়তো কাঁকড়াই তাদের খাদ্যতালিকায় মুখ্য ছিল।
ডঃ নাবাইস প্রায় পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তাঁর মতে, ১৬ সেন্টিমিটারের চেয়ে বেশি চওড়া খোলকযুক্ত কাঁকড়া তারা শিকার করত। সমুদ্রের পাশেই পাথুরে এলাকায় ছোট ছোট ডোবা থেকেই গোটা কাঁকড়া সংগ্রহ করে এনে, তারপর গুহায় কয়লার উপর পুড়িয়ে রান্না করে খেত তারা। ডঃ নাবাইস মজার ছলে বললেন, ‘রোস্টেড ক্র্যাবস’।