ভিজা, স্যাঁতস্যাঁতে, কর্দমাক্ত পরিবেশে এক ধরনের পরিচিতি বর্গের জীবাণু পাওয়া যায় যা পারকিনসন্স রোগের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। গবেষকদের অনুমান এরা মস্তিষ্কের কোশের ভিতরে এমন এক যৌগ নিঃসরণ করে যা প্রোটিনকে বিষাক্ত ক্লাম্প তৈরি করতে সাহায্য করে ।
হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ইস্টার্ন ফিনল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটা ছোটো দল পূর্ববর্তী গবেষণার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে তাদের অনুসন্ধান চালান এবং দেখেন যে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে নিউরোডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডারের তীব্রতা তাদের মলে ডেসালফোভিব্রিও ব্যাকটেরিয়া স্ট্রেনের ঘনত্বের সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে। .
জিনগতভাবে সংশোধিত কৃমিতে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি থেকে মস্তিষ্কের প্রকৃতিগত পরিবর্তন সব কিছুই পারকিনসন্স রোগের সাথে মিলে যাওয়ায় যে সম্ভাব্য পথ উঠে আসছে তাতে গবেষকরা আশা করছেন যে একদিন মানুষের মধ্যে প্রাথমিক রোগ নির্ণয়ের উন্নতি ঘটবে এমনকি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধিও ধীর গতিতে হবে।
ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অণুজীববিজ্ঞানী পের সারিসের মতে তাদের এই গবেষণার মাধ্যমে ক্ষতিকারক ডেসালফোভিব্রিও ব্যাকটেরিয়ার বাহককে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। ফলে, পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত রোগীদের অন্ত্র থেকে এই ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার স্ট্রেন অপসারণ করতে পারলে সম্ভাব্য উপসর্গগুলি ধীরে ধীরে উপশম হবে।