অ্যাপালাচিয়ান পর্বতের দক্ষিণ দিক। উত্তর ক্যারোলিনার এই অঞ্চলে পার্বত্য অরণ্যে ২০১৬ সালে ভয়াবহ দাবানলের রোষে পড়েছিল। কিন্তু নতুন গবেষণায় উঠে আসছে, এই জঙ্গলে নাকি পাখিদের প্রজাতিগত বৈচিত্র্য বেড়েছে।
স্বাভাবিক ধারণা বলে, দাবানলের প্রকোপে জঙ্গলের উদ্ভিদ আর প্রাণী উভয়েরই ক্ষতি হয়। এমনও হতে পারে যে কোনও বিশেষ প্রজাতির জীব একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। কিন্তু জীববৈচিত্র্যের দিকটা আকস্মিকভাবে উপকৃতও হতে পারে জঙ্গলের অগ্নিকান্ডে।
নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসোর্সের অধ্যাপক ক্রিস ম্যুরম্যান ছিলেন অন্যতম মুখ্য গবেশক। তিনি বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশের ঝুঁকি যে হারে বাড়ছে তাতে বিধ্বংসী দাবানলের সংখ্যা ভবিষ্যতে বাড়বে বৈ কমবে না। সুতরাং প্রাণীর অস্তিত্ব, বাস্তুতন্ত্র আর দাবানলের সম্পর্কটা ভালো করে ঝালিয়ে নেওয়া দরকার।
২০১৬ সালের হেমন্তে, অ্যাপালাচিয়ান পর্বতের দক্ষিণের জঙ্গলে ২৩৫ বর্গমাইল জুড়ে আগুন লেগেছিল। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো তারপর একটা গোটা মরশুম খরা আর বেশ কয়েকবার নতুন করে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ছিল। নান্টাহালা জাতীয় উদ্যানের তিনটে আলাদা স্তরের বনাঞ্চলে বিভিন্ন মাত্রার ক্ষতি হয়েছিল দাবানলের কারণে। গবেষকরা তথ্য দিয়ে দেখিয়েছেন কীভাবে বিগত পাঁচ বছর ধরে পাখির সংখ্যা আর প্রজাতির বৈচিত্র্য উভয়ই বেড়েছে এই জাতীয় উদ্যানে। কারণ হিসেবে ম্যুরম্যান উল্লেখ করেছেন নতুন করে গজিয়ে ওঠা গাছেদের কথা। ফরেস্ট ইকোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট পত্রিকায় প্রকাশ পেল এই অভিনব গবেষণার খবর।