প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্য, পূর্ব আর নিরক্ষীয় অংশে সমুদ্রতলের উষ্ণতা প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে যাওয়ার ঘটনাকে আবহবিজ্ঞানের ভাষায় এল-নিনো বলে। কয়েক বছর ছাড়া ছাড়াই এটা ঘটে। সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে আবহাওয়ার অন্যসব ওঠানামাও লক্ষ্য করা যায়। পশ্চিমা বাতাসের দাপট বাড়ে, আর পুবালি হাওয়ার শক্তিও বেড়ে যায়। তাতে এল-নিনোর তীব্রতাও প্রভাবিত হয়।
২০২৩ সালের শেষভাগে এল-নিনো আসবে। তবে সমুদ্রবিশারদ আর আবহবিজ্ঞানীরা বলছেন স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি শক্তি নিয়ে আসতে চলেছে এল-নিনো। যদিও চীনের সেকেন্ড ইউনিভার্সিটি অফ ওশিয়ানোগ্রাফির অধ্যাপক টাও লিয়ান বলছেন, এল-নিনোর দাপট না থাকলেও প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণ জলের ভাগ মাত্রা ছাড়িয়েছে, যা গত শতাব্দীতে ভাবাই যেত না। এমনকি ২০২২ সালের শীতকালে সমুদ্রের তাপমাত্রা যা ছিল, তা গত চল্লিশ বছরে সর্বাধিক।
অধ্যাপক লিয়ান ব্যাখ্যা করছেন, সমুদ্রের জলের উষ্ণতা বাড়লে এমনিতেই এল-নিনোর সম্ভাবনা বাড়ে। এখনকার পরিস্থিতি যা তাতে ২০২৩-এর শেষে অবশ্যই একটা শক্তিশালী এল-নিনোর জন্য অপেক্ষা থাকবে। এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার সরকারি আবহাওয়া দপ্তর থেকেও ঘোষণা এসেছে কিছুদিন আগে। তাতে বলা হয়েছে এই বছরের শীতে এল-নিনো আসার সম্ভাবনা ৫০%।