পূর্ব আফ্রিকার রিফট উপত্যকা। ইথিওপিয়ার আফার ত্রিকোণ আর মোজাম্বিকের মধ্যে অবস্থিত এই বিস্তীর্ণ উপত্যকায় মুক্তোর মালার মতো সাজানো রয়েছে স্বাদুজল আর ক্ষারজলের অনেকগুলো হ্রদ। এইসব হ্রদে জলস্তর বাড়ছে, আর বৃদ্ধির হিসেবটা নগণ্য নয়। সেখানেই দুশ্চিন্তা।
নাইভাসা হ্রদে জলের উচ্চতা যেখানে ২১% বেড়েছে, সোলাই হ্রদের ক্ষেত্রেই সেই হিসেবটা ১২৩% ছুঁয়েছে। বাড়িঘর, বিদ্যালয়, চিকিৎসাকেন্দ্র ভেসে গেছে ঐ অঞ্চলটায়। ২০১০ সাল থেকে তথ্য ধরা হলে, কেনিয়া সরকার বলছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮০০০০ বাড়ি। বিপদগ্রস্ত মানুষের সংখ্যাটা ৪০০০০০-এর উপরে। সরাসরি আঁচ পড়েছে অর্থনীতিতে। কৃষিজমির সাথে সাথে পর্যটন শিল্পও মার খেয়েছে প্রবলভাবে।
বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান শুরু হয়েছে গত কয়েক বছর আগে থেকে। স্যাটেলাইট রিমোট সেন্সিং তথ্য থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো। হ্রদের আয়তন বেড়েছে, জলতল উপরে উঠেছে। এমনকি জল ঢোকা বের হওয়ার স্বাভাবিক ব্যবস্থাতেও আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।
গবেষকরা কারণ হিসেবে প্রবল বৃষ্টিপাতকেই দায়ী করছেন। ২০১০ সাল আগে থেকে গোটা রিফট ভ্যালিতেই বর্ষণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য রকম বৃদ্ধি পেয়েছিল। সেই দশা এখনও চলছে। বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য যে বিগড়ে গেছে অনেকটাই সেটাও মেনে নিচ্ছেন গবেষকরা।