ফ্রান্স হোক অথবা ইন্দোনেশিয়া কিংবা অস্ট্রেলিয়া। প্রাগৈতিহাসিক জীবনের চালচিত্র আঁধারে মোড়া গুহার দেওয়ালে দেওয়ালে আঁকা। নিশ্চল সেইসব সিলুয়্যেটে মেঠো রঙে ফুটে উঠত সেই সময়কার জীবন।
কিন্তু এইসব আপাতভাবে গতিহীন ছবিগুলোকে ইদানীং প্রত্নতাত্ত্বিকরা আর আগের নজরে দেখেন না। বরং তাঁদের মতে, গুহাগাত্রে সেইসব আনাড়ি ছবির মধ্যে দিব্বি গতিশীল সত্তা খুঁজে পাওয়া যায়। যা এতদিন ধরে গবেষকদের বা ভাবুকদের চোখ এড়িয়ে গেছে। বিশারদরা বলছেন, অ্যানিমেশনের সূত্রপাত হয়তো সেই আদিম সময়েই।
এই বছরের গোড়ার দিকেই পাথরে খোদাই করা কিছু জন্তুর প্রতিকৃতি আবিষ্কৃত হয়েছিল। প্রাণীদের দেহগুলো কিন্তু সুষম নয়, বরং এই জন্তু ঐ জন্তুর দেহ দিয়ে জুড়ে জুড়ে আঁকা। সেখান থেকে অ্যানিমেশনের ধারণাটা পোক্ত হয় গবেষকদের মনে। ত্রিমাত্রিক মডেল আর ভারচুয়াল রিয়্যালিটি সফটওয়্যারের সাহায্যে সচল করার চেষ্টা করা হয় ঐ গুহাচিত্রগুলোকে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের দল সেটা দেখে প্রায় নিশ্চিত যে আগুনের আলোয় জন্তু জানোয়ারকে ছুটে যেতে দেখলে যেমনটা হয়, ছবিগুলো হুবহু সেই রকমের।
অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্সিয়ান অ্যানিমেটর ও শিল্প-বিশেষজ্ঞ লেইলা হোনারি বলছেন, এটা প্রমান করে যে হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ সচল জন্তুদের দেখে মুগ্ধ হয়েছে। ক্রমানুযায়ী ছবি আঁকার চেষ্টাও করেছে। অ্যানিমেশন স্টাডিজ নামের পত্রিকায় বেরিয়েছে শ্রীমতী হোনারির এই গবেষণাপত্র।