তথ্যনির্ভর প্রযুক্তি আর পৃথিবীতে অপটিক্যাল ফাইবারই মূল চালিকাশক্তি। মেরুদণ্ডও বলা চলে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে দূরপাল্লার যোগাযোগই হোক কিংবা তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রের দ্রুতগামী পরিষেবা, অথবা স্টক এক্সচেঞ্জের কাজকর্মে অপটিক্যাল ফাইবার একটা অপরিহার্য উপায়।
কিন্তু ফাইবার নেটওয়ার্ক গঠনগত দিক থেকে খুব পাকাপোক্ত নয়। একটু গড়বড় হলেই তথ্য চলাচলে অসুবিধে হতে পারে। এই সমস্যার সমাধানেই এগিয়ে এলেন ইংল্যান্ডের বেথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পদার্থবিজ্ঞানী। নতুন ধরনের ফাইবার তৈরিতে সফল হয়েছেন ওনারা। এতে ফাইবার নেটওয়ার্কের দৃঢ়তা বাড়বে। এমনকি ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম নেটওয়ার্কের জমানা যখন আসবে, তখন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে নতুন এই ফাইবার।
অপটিক্যাল ফাইবারের গঠনে এমনভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে যাতে তার মধ্যে দিয়ে প্রেরিত আলোকরশ্মি কোথাও নষ্ট না হয়। ঐ আলোকেই মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে তথ্য পাঠানো হয় একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে। এ বিষয়ে গণিতশাস্ত্রের টপোলজির সাহায্য নিলেন পদার্থবিজ্ঞানীরা। সবচেয়ে বড়ো কথা, নতুন ফাইবার খুব সহজেই নমনীয় এবং পরিমাপযোগ্য। অর্থাৎ, কয়েক হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের হলেও অনায়াসে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
বেথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ গবেষণাপত্র প্রকাশ পেল সায়েন্স অ্যাডভানসেস পত্রিকায়।