চোরাশিকারের বিরুদ্ধে অভিযান আর সংরক্ষণ কর্মসূচির সৌজন্যে নেপালে গণ্ডারের সংখ্যা বেড়েছে। সাথে সাথে বেড়েছে পর্যটকের আনাগোনাও। কিন্তু তাতে নাকি স্থানীয় মানুষদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
গণ্ডার বাঁচাতে যে তাদের ভূমিকা রয়েছে, এটা ভেবে কিন্তু স্থানীয় অধিবাসীরা গর্বিত। শুধু তা’ই নয়, গণ্ডারের সাথে সহাবস্থানেও আপত্তি নেই জঙ্গলের বাসিন্দাদের। কিন্তু ভয় তো পিছু ছাড়ে না। ইতিমধ্যেই ফসলের ক্ষয়ক্ষতির খবরটা সামনে এসেছে। বরং স্থানীয়দের ক্ষোভ আসলে সরকারি ক্ষতিপূরণ প্রকল্প নিয়ে।
এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইকেল সিজিডলওস্কি নেপালের সৌরাহাতে গিয়ে যা দেখেছেন, সেই অভিজ্ঞতাই তিনি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করলেন ইকোট্যুরিজম নামের পত্রিকায়। মানুষের অসন্তোষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আবার, পর্যটকরা বন্যপ্রাণী বাঁচাতে চাইলেও নিজেদের স্বভাবচরিত্র বদলাতে রাজি নয়। গণ্ডার সংরক্ষণ করতে গেলে যে অন্য বন্য জন্তুদেরও বাঁচানো দরকার, সেটাকে তারা মোটেই ধর্তব্যের মধ্যে ধরেন না।
জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ বর্তমানে নিষিদ্ধ হলেও বেঁচে থাকার জন্য প্রান্তিক মানুষদের জঙ্গলে ঢুকতেই হয়। গবাদি পশুর জাব, জ্বালানী কাঠ, নুড়ি কুড়নোর জন্য আইন ভাঙা ছাড়া অন্য উপায় নেই তাদের। জঙ্গলের বাইরে বন্যপ্রাণী আক্রমণ করলে সরকার ত্রাণ দেয় কিন্তু বহুক্ষেত্রেই দেখা যায় জন্তুজানোয়ার জাতীয় উদ্যানের অসংরক্ষিত সীমানায় চলে আসে। সেক্ষেত্রে মানুষের প্রাণহানির সম্ভাবনা থাকে।