চাষিদের রোবট লাগবে। তাদেরই বলা হয় ডিজিটাল ফার্মহ্যান্ড। এমন অটল যন্ত্র যা কাজ সেরে আবার নিজের জায়গায় ফিরে আসতে পারে। আবহাওয়ার নানা প্রতিকূল অবস্থায় ফল ও শাকসবজি সহজেই তুলে আনতে পারে খুব কম সময়ের মধ্যেই – এমন দক্ষ যন্ত্র। কিন্তু এই ব্যবস্থা চালু রাখা মুখের কথা নয়।
সিডনী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ফিল্ড রোবটিক্সের প্রযুক্তিবিদ হিসেবে কর্মরত অধ্যাপক সালাহ সুকারিয়া। উনি আশ্বস্ত করছেন – এখুনি কৃষি শ্রমিকদের কাজ ছিনিয়ে নিচ্ছে না রোবটের দল। কিন্তু ধীরে ধীরে ফসল তোলার প্রক্রিয়ার খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে এইসব অত্যাধুনিক যন্ত্র।
এই বছরের গোড়ার দিকে অধ্যাপক সুকারিয়া শস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে রোবট আর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রয়োগ নিয়ে মনোজ্ঞ বক্তৃতা রেখেছিলেন জাতিসংঘের গ্লোবাল কনফারেন্সে। তাঁর দাবী, খাদ্য সুরক্ষার বিষয়টা ভবিষ্যতের জন্য আরও কিছুটা নিশ্চিত হবে এইসব যন্ত্রের প্রয়োগে।
কিন্তু মানুষের রুজিরুটিতে যে অবশ্যম্ভাবী প্রভাব পড়বে এই পদক্ষেপে সেটা উনি কসমস পত্রিকাকে জানিয়েছেন। তবে অর্থনৈতিক বুনিয়াদ একেবারে ভেঙে পড়বে না, কিন্তু পরিবর্তন যে হবেই এটা নিয়ে উনি নিশ্চিত। কৃষকরা এমনিতেই অনেক কাজ জানেন। কিন্তু এইবার যদি কৃষকের যোগ্যতার জন্য শংসাপত্রে রোবটে দক্ষতার কথা উল্লেখ করতে হয়, তাহলে বাড়াবাড়ি হবে।
সুকারিয়া ও সিডনী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর দল কম খরচায় বহুমুখী একটা রোবট বানিয়েছেন মাঝারি ও ছোট চাষিদের কথা মাথায় রেখে। এটাই ডিজিটাল ফার্মহ্যান্ড, যা আসলে একটা বুদ্ধিমান ইলেকট্রিক ট্রাক্টর।
অস্ট্রেলিয়া থেকে আরম্ভ হয়ে আরও একটা কৃষিবিপ্লব কি অপেক্ষা করছে বিশ্বের সামনে?