বলা যায় হাঙরদের সমাধিক্ষেত্র। অতল জলের গভীরে আশ্চর্য এক জায়গার হদিশ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশানাল সায়েন্স এজেন্সির বিজ্ঞানীরা। হাঙরের জীবাশ্ম, দাঁত, দেহাবশেষ – কয়েক মিলিয়ন বছরের পুরানো।
যদিও প্রথমে গবেষক দল মনে করেছিল অন্যকিছু। হয় সমুদ্রের নীচে থিতিয়ে পড়া বর্জ্য অথবা ম্যাঙ্গানিজের ড্যালা। কিন্তু আরও ভালো পর্যবেক্ষণের পর তাঁদের ভুল ভাঙে।
মিউজিয়াম ভিক্টোরিয়া রিসার্চ ইন্সটিটিউটের কালেকশান অফিসার ডিয়ানে ব্রে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, এই আবিষ্কার বিস্ময়কর। সংগ্রহ করা নমুনার মধ্যে সবই কিন্তু হাজার হাজার বছরের প্রাচীন হাঙর প্রজাতির জীবাশ্ম নয়। অপেক্ষাকৃত নতুন প্রজাতিও রয়েছে, যেমন – মাকো হাঙর, সাদা হাঙরের মতো সদস্য।
৭৫০-এর বেশি দাঁত পাওয়া গিয়েছে যেগুলো বহুযুগ ধরে পড়ে থেকে খনিজে পরিণত হয়েছে। তবে সেগুলো যে শিকারি জন্তুর দাঁতের অংশ তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই গবেষকদের। এইসব নমুনা সমুদ্রের ৫.৪ কিলোমিটার নীচে থেকেই উপর দিকে উঠে আসছিল।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ান জাদুঘরের মাছের তত্ত্বাবধায়ক গ্লেন ম্যুর বলছেন, প্রাগৈতিহাসিক প্রজাতির সাথে সাথে এখনকার হাঙরের মিশেলটা ভালোই জমেছে। এমনকি মেগালোডনের ঠিক আগের প্রজাতির নমুনাও মিলেছে। কিন্তু কেন এমন একটা বিশেষ জায়গায় এতও বছর ধরে হাঙরের দেহাবশেষ জমেছে সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে গবেষকদের মধ্যে।
অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূল থেকে ২৫০০ কিলোমিটার দূরে ভারত মহাসাগরে হাঙরের এই গোরস্থান আবিষ্কার হল।