জলের জন্য বিশ্বযুদ্ধ হতে পারে, এমন আশঙ্কা অনেকদিন ধরেই ভাসছে। কিন্তু স্বাদু জলের ভাণ্ডার তো সীমিত। তাহলে দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষকে পরিষ্কার পানীয় জল কীভাবে দেওয়া যায়? – উপায় একটাই, জল পরিশোধন করার উপায় খুঁজতে থাকা।
ক্লোরিন দিয়ে জল জীবাণুমুক্ত করার উপায়টা বোটপুরনো। তাতে বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে ক্ষতিকর বিষ তৈরি হতে পারে। পদ্ধতিটা খুব সস্তা এমনটাও নয়। তাই জল পরিশোধনের একেবারে হালের উপায় হচ্ছে ফেরেটের ব্যবহার। লোহারই একধরণের প্রকারভেদ বলা যায় এই ফেরেট। ক্ষতিকর বিষ খুব কম মাত্রায় উৎপন্ন হয়। খরচটাও কম। ওজোন ট্রিটমেন্ট সিস্টেমের চেয়ে তাই বিজ্ঞানীরা ফেরেট কাজে লাগিয়ে জল শোধন করার পরামর্শই দিচ্ছেন।
কিন্তু অন্য যৌগের সাথে মেশালে বা আলোকশক্তি ব্যবহার করলে তবেই কিন্তু ফেরেট সবচেয়ে ভালো কাজ করে। রোড আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তাই অতিদ্রুত লেজার রশ্মি বা এক্সরে পালস ব্যবহার করে দেখিয়েছেন ঐ পরিস্থিতিতে ফেরেটের কার্যকারিতা। অ্যামেরিকান কেমিকাল সোসাইটির জার্নালে গবেষণাপত্রটা প্রকাশিত হল কিছুদিন আগে।
অন্যতম মুখ্য গবেষক ডুগান হায়েস বলছেন, তীব্র আলোর সাহায্যে ফেরেটকে উদ্দীপ্ত করে জল পরিশোধনের কথাটা কিন্তু আগে ভাবা হয়নি। এই প্রথমবারের জন্য ফোটোফিজিক্যাল প্রভাবের নমুনা পেশ করা সম্ভব হল হাতেনাতে।