আখগাছের কাণ্ড কিংবা আখের ছিবড়ে থেকে যে বিমানের জ্বালানী তৈরি হতে পারে এমন সম্ভাবনা আজকের নয়। কিন্তু অস্ট্রেলীয় গবেষকরা এই প্রকল্প আরও কার্যকরী উপায়ে বাস্তবায়িত করার পথে। তাতে জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহার করে উড়ানের রসদ জোগানোর গুরুভার কিছুটা হলেও কমবে।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই উদ্যোগে ব্রতী হয়েছেন। গবেষণাপত্রে তাঁরা লিখেছেন, উচ্চমানের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যাপক পরিমাণে উৎপাদিত হতে পারে লিগ্নোসেলুলসিক বায়োমাস থেকে। এই তরল পদার্থ জীবাশ্ম জ্বালানীর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
কিন্তু মূল সমস্যা উৎপাদনের সাশ্রয়ী উপায় খুঁজে বের করা। এমনিতে জীবাশ্ম জ্বালানীর বিরূপ প্রভাব প্রকৃতির উপর পড়লেও, পকেটে বিশেষ ধাক্কা লাগে না। কিন্তু আখগাছ আর আখের ছিবড়ে থেকে বিকল্প জ্বালানীর উৎপাদন সহজসাধ্য নয়। তাই খরচেও কম না। তাই জীবাশ্ম জ্বালানীর সাথে এখুনি প্রতিযোগিতায় নামা অসম্ভব।
এই সমস্যার সমাধান আসন্ন যদিও। মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। PuDHT নামের একটা উৎসেচক প্রস্তুত করে ফেলেছেন ওনারা। এই এনজাইমের ব্যবহারে আখ থেকে পাইরুভেট আর তারপর আইসোবিউটানল নামের শেষ স্তরের রাসায়নিক দ্রব্য তৈরির গতি অনেকটাই বেড়ে যাবে। এই আইসোবিউটানল থেকেই বিকল্প জ্বালানী তৈরি হবে। এছাড়া প্লাস্টিক, রাবার, খাবারে মেশানোর রাসায়নিক পদার্থও বাইপ্রডাক্ট হিসেবে পাওয়া যায়।