৬০টি গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব!

৬০টি গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

পৃথিবীর বাইরে অন্যান্য গ্রহে প্রাণের সন্ধান অনেকদিন ধরেই চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। অতীতে ওইসব গ্রহে কোনও প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা, মূলত সেই খোঁজই চলছে বহু বছর ধরে। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মঙ্গলগ্রহ। এর পাশাপাশি চাঁদের মাটিও মনুষ্য বসবাসযোগ্য কিনা সেই সন্ধানও চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এই সবের মধ্যেই একদল ভারতীয় গবেষক, দু’জন পড়ুয়া এবং একজন অধ্যাপক একটা নয় বরং ৬০টি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন যেখানে মনুষ্য বসবাসের সম্ভাবনা রয়েছে। মোট ৫০০০ গ্রহের মধ্যে থেকে এই ৬০টি গ্রহ খুঁজে নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর জন্য ওই গবেষকরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ভিত্তিতে তৈরি পদ্ধতি যার নাম মাল্টি স্টেজ Memetic Binary Tree Anomaly Identifier (MSMBTAI)- এর সাহায্য নিয়েছেন। পৃথিবী ছাড়া মহাজগতের আর কোন কোন গ্রহ মানুষের থাকার জন্য উপযুক্ত তার খোঁজ অনেকদিন ধরেই চলছে। তার মধ্যেই এমন এক আবিষ্কার নিঃসন্দেহে সাড়া জাগিয়েছে।
যে পদ্ধতিতে ওই গবেষকরা গবেষণা চালিয়েছেন তা হল আসলে একটি ব্যতিক্রম খুঁজে বের করা। একটি novel multi-stage memetic algorithm (MSMA)- এর মাধ্যমে এই ব্যতিক্রম খুঁজে বের করতে হবে। এই অ্যালগোরিথমই আসলে একটি স্ক্রিনিং টুল হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এই টুলের সাহায্যে যেসব গ্রহ নিয়ে গবেষণা চলবে তাদের মধ্যে বসবাসযোগ্যতার দৃষ্টিকোণ খুঁজে বের করবে। এক্ষেত্রে পৃথিবী অর্থাৎ মানুষের বাসযোগ্য অন্যতম নীলগ্রহকে একটি ব্যতিক্রম হিসেবে ধরে নিয়েছেন ওই তিন গবেষক। এ যাবৎ হদিশ পাওয়া হাজার হাজার গ্রহের মধ্যে একমাত্র পৃথিবীকেই বাসযোগ্য বলে ধরে নিয়ে বাকি গ্রহের মধ্যে সেই সমস্ত বৈশিষ্ট্যের খোঁজ চালিয়েছেন তাঁরা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যেই গবেষকরা হাজার হাজার গ্রহ স্ক্যান করে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করেছেন গবেষকরা।
আর তাই পৃথিবীর উদাহরণকে স্ট্যান্ডার্ড স্বরূপ ধরে নিয়ে সেই মতো বৈশিষ্ট্য যেসকল গ্রহে পাওয়া গিয়েছে, পৃথিবীর মতো ব্রহ্মাণ্ডের সেই সমস্ত গ্রহকে ব্যতিক্রম বলে ধরে নিয়েছেন গবেষকরা। সব মিলিয়ে ৬০টি গ্রহে একই রকমের ব্যতিক্রম দেখা গিয়েছে। ওই ৬০টি গ্রহের পৃষ্ঠদেশের তাপমাত্রা গ্রাহ্য করে এবং না করে, দুই ধরনের পরীক্ষাতেই ব্যতিক্রম ফলাফল একই হয়েছে। ওই গবেষকরা জানিয়েছেন যে পুরো ইউনিভার্সে প্রায় ৮০০০ গ্রহ রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই গবেষকরা Indian Institute of Astrophysics (IIA)- বেঙ্গালুরুর একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে যুক্ত। এদের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন আরও দু’জন। তঁদের মধ্যে একজন কার্তিক ভাটিয়া, BITS Pilani- র গোয়া ক্যাম্পাসের ছাত্র। অন্যজন জ্যোতির্ময় সরকার- ওই কলেজেই পিএইচডি করছেন। Royal Astronomical Society- র জার্নালে এই গবেষণা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।