চলতি শতককে অনেক সমাজবিজ্ঞানী ফ্যাশানের একশো বছর বলতে সংকোচ করবেন না। কিন্তু যদি জিজ্ঞেস করা হয় তিন লক্ষ কুড়ি হাজার বছর আগে প্রাগৈতিহাসিক মানুষের ফ্যাশানচেতনা কেমন ছিল? বিজ্ঞানীরা এবার এমন উদ্ভট প্রশ্নের উত্তর নিয়েও তৈরি।
জার্মানির এক প্রত্নক্ষেত্র থেকে কিছুদিন আগে উদ্ধার করা হয়েছে প্রাচীন প্রাণীর হাড়গোড়। সেগুলো গুহা-ভল্লুক বা কেভ বিয়ারের। বিজ্ঞানসম্মত নাম – উরসাস স্পেলাউস কিংবা উরসাস ডেনিঙ্গেরি। ভল্লুকের ফ্যালাংস আর মেটাটারসাল অস্থিতে কাটা দাগ খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। ওনাদের পোক্ত অনুমান, এই সব ভল্লুকের শরীর থেকে লোম আর চামড়া আলাদা করে পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করত সেযুগের মানুষ। সেটা ফ্যাশান হোক অথবা হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে।
জার্মানির টুবিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নপ্রাণীবিজ্ঞানী আইভো ভারহেইজেন নেতৃত্ব দিয়েছেন গবেষক দলটাকে। উনি লিখছেন, ভল্লুকের ব্যবহার যে ঐ যুগে শুধু খাদ্য হিসেবেই হত তা নয় বরং জন্তুর চামড়াটাকেও কাজে লাগানো হত। এ নিয়ে শতক জুড়ে চলা বিতর্কের অবসান হয়তো হল।
মধ্য প্লিসটোসিন যুগে উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে চরম ঠাণ্ডা আর প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে হোমিনিন প্রজাতির মানুষ কীভাবে টিকে ছিল, সেটাও ব্যাখ্যা করার অবকাশ তৈরি হল এই আবিষ্কার থেকে। জার্মানির স্কোনিনজেন শহর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো সেই ১৯৯০ সাল থেকেই প্রত্নতাত্ত্বিকদের বিশেষ প্রিয়। গোটা কাঠের অস্ত্র কিংবা একগোছা বর্শার নমুনা এখান থেকেই আগে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।