শেষতম নোবেল পুরস্কারটা এসেছিল কোয়ান্টাম এন্ট্যাঙ্গেলমেন্টের উপর। এবার, আবারও পরীক্ষাগারে দুটো বন্দি আয়নের মধ্যে বেশ খানিকটা দূরত্বে এন্ট্যাঙ্গেল বা জোট বাধার ঘটনা দেখা গেলো। অষ্ট্রিয়ার ইন্সব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেসি নর্থআপ আর বেন লান্যনের নেতৃত্বে একটা গবেষক দল একই ল্যাবে কোয়ান্টাম এন্ট্যাঙ্গেলমেন্টের প্রমাণ দিলেন। স্বভাবতই আগ্রহী হয়ে উঠেছে গোটা পদার্থবিজ্ঞানী মহল।
ইন্সব্রুকের পশ্চিমে ‘ক্যাম্পাস টেকনিক’-এর দুটো পরীক্ষাগারে এই কোয়ান্টাম নেটওয়ার্ক বসানো হয়েছিল। গবেষণা প্রমাণ করছে যে বন্দি আয়ন ভবিষ্যতের কোয়ান্টাম অন্তর্জালের জন্য উপযোগী। শুধু কয়েকটা শহর নয়, বরং মহাদেশও জুড়ে দেওয়া যাবে এই নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে।
কোয়ান্টাম কম্পিউটার আর অন্যান্য কোয়ান্টাম প্রযুক্তিতে ‘ট্র্যাপড আয়ন’ হচ্ছে অন্যতম প্রধান ব্যবস্থা। একাধিক কোয়ান্টাম সিস্টেম জোড়ার জন্য কোনও একটা বিশেষ ইন্টারফেস লাগে। এর মধ্যে দিয়েই কোয়ান্টাম তথ্যরাশির চলাচল সম্ভব হয়।
বিগত কয়েক বছরে ইন্সব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ দুই গবেষক নর্থআপ আর লান্যনের নেতৃত্বেই পরীক্ষামূলক পদার্থবিদ্যা বিভাগে এই ধরণের পদ্ধতির জন্ম হয়েছে। কাজে লাগানো হয় আলোক কণাকে। কোয়ান্টাম তথ্য এই আলোক কণার ঘাড়ে ভর করেই অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন অবস্থানে থাকা পরমাণুদের কাছে পৌঁছে যায়।