জেরুজালেমের হেব্রিউ বিশ্ববিদ্যালইয়ের একটি গবেষণা মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। কি জানাচ্ছে গবেষণা? সীসার দূষণে আগামীদিনে মানুষের শরীরে একটা হাড়ও অবশিষ্ট থাকবে না! গবেষণার অন্যতম প্রধান দায়িত্বে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াগাল এরেল বলেছেন, বিভিন্ন যন্ত্রে সীসার ব্যাবহার যখন থেকে বাড়ছে সেই সময় থেকেই মানুষের শরীরে হাড় দুর্বল হতে শুরু করেছে। মধ্য ইতালির একটি জায়গায় কবর খোঁড়া হয়েছিল সম্প্রতি। ১২ হাজার বছর আগের কঙ্কাল বার করা হয়েছিল সেখান থেকে। ওই সময়ের অজস্র মানুষের কঙ্কাল। যারা অবিরাম সীসা নিষ্কাশনের কাজে যুক্ত ছিল এবং যারা সীসার তৈরি যন্ত্রাংশ নিয়মিত ব্যবহার করেছে। গবেষকরা দেখেছেন, অধিকাংশ কঙ্কাল হাড়বিহীন! সীসা কোথায় কোথায় ব্যবহৃত হয়? বিভিন্ন বৈদ্যুতিন যন্ত্রে, ব্যাটারি, সোলার প্যানেল এবং আরও অনেক রকমের শিল্পে সীসার ব্যবহার বহু প্রচলিত। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সীসা নিষ্কাশনের কাজ এবং সীসা আছে এরকম কাজে বাতাসে নিঃশব্দে মিশে যাচ্ছে সীসা। অপরিশোধিত জ্বালানি পুড়েও বাতাসে মিশছে সীসা। তার প্রভাবেই মানুষের হাড় ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে।