কীর্তিটা হার্ভার্ড জন পলসন স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সের বিজ্ঞানীদের। সাথে ছিল ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষকরা। আলোর সাহায্য নিয়ে নতুন পদ্ধতিতে রোগগ্রস্ত স্নায়ুকোষের সাধারণ চরিত্র বদলে দিয়ে দেখালেন তাঁরা। মৃগী বা অটিজমের মতো স্নায়বিক সমস্যার চিকিৎসায় অভিনব দিশার হদিশ পাওয়া যাবে বলেই মত বিজ্ঞানী মহলের।
গবেষণাপত্র প্রকাশিত হল সায়েন্স অ্যাডভানসেস পত্রিকায়। অন্যতম মুখ্য গবেষক জিয়া লিউ বলছেন, নিউরোসায়েন্স এবং বিহেভিয়ার স্টাডিজে আরও আবিষ্কারের সুযোগ তৈরি হল। নিউরনকে নিয়ন্ত্রণ করার একটা মোক্ষম উপায় বলা যাবে এই নতুন পদ্ধতিকে।
বিজ্ঞানের এই বিশেষ শাখাটার নাম অপ্টোজেনেটিক্স। আলোর নিয়ন্ত্রিত প্রয়োগে স্নায়ুকোষকে উত্তেজিত অথবা পরিবর্তন করার পদ্ধতি বিশেষ। ন্যানোটেকনোলজিতে নতুন নতুন উদ্ভাবনের কারণে চিকিৎসাশাস্ত্রের এই বিভাগটাও অভাবনীয় উন্নতি করেছে। লিউ এবং তাঁর গবেষক দল নমনীয় ন্যানোইলেক্ট্রনিক্সের ব্যবহার করেছিলেন এই গবেষণায়।
শানান সেসলার, ইমিং ঝাউ, ওয়েনবো ওয়াং, নোলান হার্টলে ছিলেন অন্যান্য গবেষক।