চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে সংগ্রহ করে আনা ধুলোর নমুনা পরীক্ষা করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তা থেকে বোঝা যাচ্ছে চাঁদের মাটিতে আবদ্ধ জলের উৎস হয়তো সূর্য!
জলের খবরটা ভেঙে বলা ভালো। সৌরঝড়ে হাইড্রোজেন আয়ন প্রবল বেগে আছড়ে পড়ে চাঁদের মাটিতে। সেই হাইড্রোজেন যদি খনিজ অক্সাইডের সাথে বিক্রিয়া করে জল তৈরি করে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আর সেই সূক্ষ্ম জলকণা চন্দ্রপৃষ্ঠের আলগা পাথুরে মাটিতে লুকিয়ে থাকে। বিশেষত মধ্য আর উচ্চ দ্রাঘিমাংশের অঞ্চলগুলোতে (অর্থাৎ, চাঁদের নিরক্ষরেখা থেকে দূরে, মেরু অঞ্চলের দিককার)।
চাঁদের মাটিতে জলের উৎস কী অথবা তার বিস্তারই বা কেমনভাবে হয়েছে সেটা জানা দরকার। তা থেকে পৃথিবীতে এই তিন ভাগ জলের রহস্যের কথাও হয়তো উন্মোচিত হতে পারে। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহকে একটা শুকনো ধুলোর বল মনে হলেও তেমনটা নয়। সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সেখানে জলের পরিমাণ যতটা ভাবা হয় তার চাইতে অনেকটাই বেশি। অবশ্যই বড়ো বড়ো নদী জলাধার কিংবা লেগুন সেখানে নেই। কিন্তু মাটির স্তরে থাকা জলের পরিমাণও উপেক্ষা করার মতো নয়।
এখান থেকেই স্বাভাবিক জিজ্ঞাসা আসে – কোথা থেকে এই জল এলো? কতখানি জল আছে? ইত্যাদি… বিজ্ঞানীরা নিরলস চেষ্টায় আছেন, উৎসের নির্দিষ্ট উত্তর পেলে বাকি ধন্দগুলো কেটে যাবে।