পাহাড় পর্বত থেকে পাথর ক্ষয়ে ক্ষয়ে বালি তৈরি হয়। সেই বালিই নদীর স্রোতে ভেসে এসে জমা হয় সমুদ্রবক্ষে। এটাকেই ভূতাত্ত্বিকরা ‘সেডিমেন্টারি সাইকেল’ বলে। আমাদের গ্রহের বিবর্তন আর হালচাল বুঝতে এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিটাকে বুঝতে পারা জরুরি।
পৃথিবীতে এখনকার মতো আবহাওয়া চিরটা কাল ধরে ছিল না। এর চেয়ে অনেক বেশি উষ্ণ আর অগ্ন্যুৎপাত হত একটা সময়ে। সেই সময় ওই সেডিমেন্টারি চক্র কেমন কাজ করত সেটা ধরতে পারলে আজকের অবস্থানটাও স্পষ্ট হবে। মাটি খুঁড়ে তেল তোলা, বায়ুকল বসানো বা কার্বনকে পাকড়াও করার হরেক ফিকিরই কিন্তু নির্ভর করে আছে সমুদ্রের বালি আর ডাঙার বালির ভারসাম্যের উপর।
গভীর সমুদ্রের বালির ভাণ্ডার নিয়ে পর্যালোচনার সময় ৫০ মিলিয়ন বছর আগেকার চরম জলবায়ুর একটা ছাপ বা ফুটপ্রিন্ট খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। টারবিডাইট ডিপোজিট বলে একে। মহাদেশীয় পাতের উপরে পলি, বালি আর পাথরের সমাহার ছিল সেই সময়ে। সেইসব পলি, বালি নিচের দিকে গড়াতে শুরু করায় সমুদ্রের নিচে জলের ব্যাপক প্রবাহ শুরু হয়েছিল। তাতেই গভীর সমুদ্রের নিচে পাকাপাকি ভাবে বালির ভাণ্ডার গড়ে ওঠে।
সায়েন্টিফিক রিপোর্টস পত্রিকায় গত মাসে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। মুখ্য গবেষক স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার জ্যাক বার্টন। তাঁর ভাষায়, চরম জলবায়ু যে ল্যান্ডস্কেপ কীভাবে বদলে দিতে পারে এটা তারই প্রমাণ।