ছেলেবেলায় মনের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য আশপাশের চলমান পরিমন্ডলের ভূমিকা অসীম। শিশুমন, কৈশোরের ভাবনা শুকিয়ে যায় অস্থিরতার মাঝে পড়লে। আর লড়াই-যুদ্ধ? তা ক্ষতি করে অল্পবয়সীদের, যা ক্ষতি করে তার কোন পরিমাপ হয় না। পৃথিবীতে নানা প্রান্তে এখন চলমান যুদ্ধের পরিবেশ। প্যালেস্টাইনে মারা যাচ্ছে শতশত শিশু, পুরো হাসপাতালই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শত্রুর বাসস্থান খোঁজার নাম করে। রুশ দেশের সাথে ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে দুবছরেরও বেশী সময় ধরে। “জার্নাল অফ আমেরিকান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন”-এর ২৫ শে মার্চ সংখ্যায় প্রকাশিত গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে এক বেদনাময় ছবি।
মিসাইল, বোমারু বিমান, গোলাগুলি, মৃত্যুর আবহে বড় হতে থাকা ৮০৯৬ জন কিশোর-কিশোরীর মনের অবস্থা নিরীক্ষন করেছেন গবেষকরা। দেখা গেছে ৩২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী গভীর অবসাদে আচ্ছন্ন। ১৮ শতাংশ উদ্বেগ এবং আতঙ্কে প্রতিনিয়ত ভারাক্রান্ত, ৩৫ শতাংশ চরম দুঃখে, এখনও মনের লড়াই-এ আছেন। ২০ শতাংশ নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন জীবনের এই ভোরবেলাতেই।
চোখে দেখা যুদ্ধের আগুনের সাথে নাদেখা এই ছবি আমাদের যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং অনেক দূর পর্য্যন্ত প্রসারিত প্রভাবের কথা মনে পড়ায়। বোমা-বন্দুক বাচ্চাদের হাসি কেড়ে নেয় চিরদিনের মতো। গান, কবিতা, স্বপ্ন দেখা এসবতো আর হয়ে ওঠেনা। যুদ্ধ বানায় জীবনের মরুভূমি। যুদ্ধবাজেরা তবুও থামেনা এ পৃথিবীতে।