মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০,০০০-এর বেশি কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে শিশুরা যদি শৈশবে আনন্দের সঙ্গে বই পড়তে শুরু করে তবে বয়ঃসন্ধিকালে তাদের বৌদ্ধিক স্তর উন্নত হয় এবং মানসিক স্বাস্থ্যেরও বিকাশ ঘটে। এডোলেসেন্ট ব্রেন অ্যান্ড কগনিটিভ ডেভেলপমেন্ট (ABCD) থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করে ইউরোপের কেমব্রিজ এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের ফুদান ইউনিভার্সিটির গবেষকের দল দেখেন যে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১২ ঘণ্টা আনন্দের সঙ্গে পঠন মস্তিষ্ক গঠনে ইতিবাচক ফল দেয় এবং এই তথ্য সম্প্রতি সাইকোলজিক্যাল মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে আনন্দের সঙ্গে পঠন ও বয়ঃসন্ধিকালে বৌদ্ধিক পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফলের মধ্যে এক পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। যেসব শিশুরা তাড়াতাড়ি বই পড়া শুরু করে তাদের মানসিক বিকাশ ঘটে; মানসিক চাপ, বিষণ্নতা এবং আচরণগত সমস্যা কমে যায়, পাশাপাশি মনোযোগেরও উন্নতি হয়। তারা মোবাইল বা কম্পিউটারে কম সময়ের জন্য খেলা করে বরং অনেক বেশি সময় ধরে ঘুমোতে পারে।
বয়ঃসন্ধিকালে মস্তিষ্কের স্ক্যান থেকে দেখা গেছে যে যারা অল্প বয়সে মনের আনন্দের জন্য বই পড়া শুরু করেছিল তাদের মস্তিষ্কের ক্ষেত্র ও আয়তন দুটোই বড়ো, বিশেষত গুরুমস্তিষ্ক বা সেরিব্রাম যা বৌদ্ধিক বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বারবারা সাহাকিয়ানের মতে বই পড়া শুধুমাত্র আনন্দ দেয় তা নয় বরং চিন্তাভাবনা, সৃজনশীলতা, সহানুভূতির বিকাশ ঘটায় এবং মানসিক চাপ কমায় । ফুদান ইউনিভার্সিটি এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিয়ানফেং ফেং অভিভাবকদের দৃষ্টি দিতে বলেছেন যাতে বাচ্চারা পড়তে উৎসাহিত হয়, কারণ এর ফলে বাচ্চারা ভবিষ্যতে উপকৃত হবে।