ইওরোপা, বৃহস্পতির ঠাণ্ডা একটা উপগ্রহ। গত বৃহস্পতিবারে, নাসার জুনো নামের মহাকাশযান উপগ্রহের ২১৯ মাইল দূর দিয়ে উড়ে গেল। কুড়ি বছরে প্রথমবার সম্ভব হল ইওরোপার এতও কাছে যাওয়া।
২০১১ সালে সৌরজগতের সবচেয়ে বড়ো গ্রহ বৃহস্পতিকে নিয়ে গবেষণার জন্যে জুনো মিশন শুরু করে নাসা। প্রাথমিক উদ্দেশ্য সাধিত হওয়ার পর গ্রহের তিন উপগ্রহ ইওরোপা, গ্যানিমেড আর লো ছিল জুনোর অভীষ্ট। মিশনের মুখ্য তদারক স্কট বল্টন এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন মহাকাশযান জুনোর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর তোলা কিছু অবিস্মরণীয় আলোকচিত্রের বিষয়ে।
শেষ কিছু অভিযানের তথ্য ও ছবির সাথে নতুন জুনো মিশনের তুলনা করে গবেষকরা দেখেছেন কীভাবে সময়ের সাথে ইওরোপার মাটি বদলে যাচ্ছে। উপগ্রহটার উপরিতলে ১০ থেকে ১৫ মাইল মোটা বরফের স্তর রয়েছে, এমনই শোনাচ্ছেন ক্যান্ডি হান্সেন। ইনি জুনোর ক্যামেরা নির্মাণে আর পরিচালনায় প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন।
মহাকাশবিজ্ঞানীরা মনে করেন, ইওরোপার বরফের চাদরের ৪০ থেকে ১০০ মাইল নীচে লবণাক্ত জলের ভাণ্ডার রয়েছে। ভিনগ্রহে প্রাণের সন্ধানে প্রথম পদক্ষেপই হল জলের খোঁজ পাওয়া। নাসার গবেষকরা দাবী করছেন, জুনোর কাছে উপযুক্ত যন্ত্রপাতি আছে যাতে ইওরোপার গভীরে গিয়ে গঠন আর তাপমাত্রা সম্বন্ধে জরুরি তথ্য আবিষ্কার করা সম্ভব হবে ভবিষ্যতে।