দ্য ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ওবেসিটিতে প্রকাশিত করোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক গবেষণা, প্রমাণ করেছে যে শৈশবে স্থূলতার চিকিৎসা স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী উভয় পরিস্থিতিতেই কার্যকর। গবেষণাটি সুইডেনের ১৭০ জনেরও বেশি শিশু নিয়ে করা হয়েছে, যাদের স্থূলতা চিকিৎসাগতভাবে নির্ণয় করা হয়েছিল ও তা চিকিৎসা করাও হয়েছিল। এই শিশুদের বয়স চার থেকে ছয় বছরের মধ্যে এবং স্টকহোম অঞ্চলের শিশু ক্লিনিকের মাধ্যমে এদের নিয়ন্ত্রিত ট্রায়ালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের তিনটি চিকিত্সা পদ্ধতির মধ্যে একটিতে নিযুক্ত করা হয়েছিল: সাধারণ পদ্ধতিতে চিকিৎসা বা স্ট্যান্ডার্ড ট্রিটমেন্ট, অভিভাবকদের সহায়তায় চিকিৎসা বা প্যারেন্টাল সাপোর্ট গ্রুপ, এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে টেলিফোন সহায়তা সহ অভিভাবকদের সহায়তা দল বা প্যারেন্টাল সাপোর্ট গ্রুপ উইথ ফলো-আপ টেলিফোন সাপোর্ট। স্ট্যান্ডার্ড ট্রিটমেন্ট গ্রুপের শিশু এবং পিতামাতারা একজন ডাক্তার, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অথবা ডায়েটিশিয়ানের সাথে শিশুদের খাদ্যতালিকা এবং ব্যায়ামের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছিল। কিন্তু অন্য দুটি দল শিশুদের সংযুক্ত না করে নিজেরাই চেষ্টা করেছিল কোনো ইতিবাচক উপায়ের মাধ্যমে পরিবারে স্বাস্থ্যকর জীবনধারাকে উন্নীত করতে। গবেষণায় দেখা গেছে তিনটি দলের শিশুদেরই ওজনের অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং তাদের স্থূলতার মাত্রা হ্রাস পেয়েছে। যেসব শিশুর অভিভাবকদের সহায়তা পেয়েছে তাদের ফলাফল ভালো ছিল, বিশেষ করে যারা পরবর্তী ক্ষেত্রে টেলিফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পেরেছে। দেখা গেছে যে এই তৃতীয় দলের শিশুদের ওজন উন্নত হওয়ার সাথে সাথে বিপাকীয় স্বাস্থ্যের উন্নতিও ঘটেছে এবং রক্তে লিপিড এবং গ্লুকোজের মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। প্রফেসর নোভিকার মতে, বেশিরভাগ বাবা-মায়েরা জানে যে তারা তাদের সন্তানদের কী ধরনের খাবার খেতে দিতে পারে। কিন্তু অনেকসময় দেখা গেছে যে শিশুটি খেতে ভালোবাসে বা সর্বদা খাবার খেতে চায়। খাবার খেতে নিষেধ না করে অভিভাবকদের খাবারের ধরনের উপর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে দুপুরে বা রাতের খাবারের সময়ে অন্য ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। শিশু ক্ষুধার্ত থাকলে তাকে শাকসবজি বা ফল দেওয়া এবং তাদের খাবার দিয়ে পুরস্কৃত না করলেই ভালো হয়। এটা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ যে খাবার আবেগ এবং কৃতিত্বের সাথে যুক্ত নয়। কিশোর বয়সে চিকিত্সা শুরুর থেকে শৈশবেই চিকিত্সা অনেক ফলপ্রসূ হয় কিছুকিছু ক্ষেত্রে পূর্বের চিকিত্সার মাধ্যমে ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি এড়ানো যেতে পারে।